সময় যত গড়াচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হচ্ছে। তবুও হাল ছাড়ছেন না তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে নিয়োজিত উদ্ধারকারীরা।
তাদের আশা কাউকে না কাউকে অবশ্যই জীবিত পাওয়া যাবে। সেটিই সত্যি হয়েছে তুরস্কের হাতেয় প্রদেশের আন্তাকায়া নামক একটি স্থানে। সেখানে ভূমিকম্পের ৭৯ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে মার্ত তাতারা নামের দুই বছরের এক শিশুকে।
শিশুটিকে উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, যখন দুই বছরের মার্ত তাতারকে টেনে তোলা হচ্ছে তখন আশপাশের সবাই ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছেন। সবার মুখে হাসি। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে হাসছে ওই শিশুটিও। এমনকি এক আত্মীয়কে দেখে হাসিমুখে তার কাছে যাওয়ারও চেষ্টা করছে সে।
৭৯ ঘণ্টা পর দুই বছরের তাতারকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের পর আরও অনেককে জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন উদ্ধারকারীরা।
ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়ায় যখন শুধু হতাশা আর দুঃখে আশপাশের বাতাস ভারী হয়ে আসছে তখন এ ধরনের ঘটনা উজ্জীবিত করছে সবাইকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই হাতেয় প্রদেশে ১০ বছরের একটি মেয়ে শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বার্তাসংস্থা ডিএইচএ নিউজ জানিয়েছে, ১০ বছরের শিশুটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পর তাকে উদ্ধার করতে ৩২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন উদ্ধারকারীরা। অবশ্য ওই শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়। কারণ তার হাতটি ধ্বংসস্তূপের নিচে এমনভাবে চাপা পড়েছিল যা টেনে বের করা সম্ভব ছিল না।
এছাড়া আদিয়ামান প্রদেশে ১৭ বছরের এক বালিকাকে উদ্ধার করেন খনির শ্রমিকরা। অপরদিকে কাহরামানমাররাসে ২০ বছরের এক যুববকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই সময় উপস্থিত সবার ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারদিক।