একদিন বন্ধ থাকার পর আজ খুলেছে শেয়ারবাজার। দেশের নতুন বাস্তবতায় আজ লেনদেন শুরু হওয়ার পরই সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান তিনটি সূচকই ঊর্ধ্বমুখী ধারায় আছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রধান সূচক বেড়েছে ১৮৭ পয়েন্ট। প্রথম ৩০ মিনিটে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় ৩০০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তারা বাজারে আবার সক্রিয় হয়েছেন।
এর আগে, গত রোববার লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সূচকের বড় দরপতন হয়। সেদিন লেনদেনের শুরুতে সূচকের পতন হয় ১০০ পয়েন্ট। আজ ঠিক তার উল্টো ঘটনা দেখা গেল। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।
শীর্ষস্থানীয় দুটি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা জানান, আজ বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা সশরীরে না আসলেও অনলাইন ও মোবাইল ফোনে সক্রিয় হয়েছেন। তবে শুরুতে যে গতি ছিল, প্রথম ৩০ মিনিটের পর তা কিছুটা কমে যায়।
ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে সূচকের পতনের সময় যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ আজ ভালো মুনাফায় শেয়ার বিক্রি করেছেন। এই সংখ্যাটা খুব বেশি নয়।
আজ দিনের প্রথম এক ঘণ্টা লেনদেনের পর প্রধান সূচক ডিএসইক্স বেড়েছে ১৮৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ; ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ আর ডিএস ৩০ সূচক বেড়েছে ৭৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
এই সময় প্রায় ৩৮৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দাম বেড়েছে ৩৩৮টি কোম্পানির শেয়ারের; দাম কমেছে ৩৯টি কোম্পানির আর অপরিবর্তিত আছে ১১টি কোম্পানির শেয়ার।
আজ লেনদেনের শীর্ষে আছে ট্রাস্ট ব্যাংক; প্রথম এক ঘণ্টায় এই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি টাকার বেশি। এরপর আছে টেকনো ড্রাগ; এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬০ লাখ টাকার আর তৃতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি টাকার বেশি।
শেয়ার করুন