বন্যায় ছয় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লাখ মানুষ, একজনের মৃত্যু

জাতীয়

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে দেশের ছয় জেলা। এতে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও মৌলভীবাজারের অন্তত ১৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, বন্যাকবলিত ছয় জেলার ৪৩টি উপজেলা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় প্রদানের জন্য খোলা ১ হাজার ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ঠাঁই নিয়েছেন ১৭ হাজার ৮৮২ জন মানুষ। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৬টি গবাদি পশু।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোয় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে

এরমধ্যে ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে জানিয়ে বন্যা পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ৪০টি উদ্ধারকারী যানসহ ১৬০ জন সদস্যকে ফেনীতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮টি উদ্ধারকারী যান নিয়ে নৌবাহিনীর ৭১ জন সদস্য উদ্ধারকাজ করছে। এ ছাড়াও বিজিবিসহ আরও নৌযান আনার কার্যক্রম চলছে।

অন্যদিকে বন্যাকবলিত জেলাগুলোর প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *