বরাদ্দের বেশি গ্যাস বিক্রি: ৭ ফিলিং স্টেশন বন্ধ

হবিগঞ্জ

মাসিক বরাদ্দের চেয়ে বেশি গ্যাস বিক্রি করায় হবিগঞ্জের ৪টি ও মৌলভীবাজারের ৩টি মিলিয়ে মোট ৭টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড।

সিএনজি স্টেশনগুলো হলো- হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আল আমিন, সেমকো, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জিএস ব্রাদার্স ও শায়েস্তাগঞ্জ সিএনজি স্টেশন। আর মৌলভীবাজার শহরের সাজ্জাদুর রহমান, সদর উপজেলার এমএস ফিলিং স্টেশন ও রাজনগরের ডেল্টা ফিলিং স্টেশন বন্ধ করা হয়েছে।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক খালেদ গণি বলেন, জেলায় মোট ৮টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে চারটিতে মাসিক বরাদ্দের চেয়ে বেশি গ্যাস বিক্রি করায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে একই প্রতিষ্ঠানের ডিজিএম আওলাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। বরাদ্দ শেষ হওয়া তিনটি স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ সিএনজি স্টেশনের ব্যবস্থাপক ফজলে রাব্বি বলেন, প্রতি মাসে আমাদের ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৬ ঘনমিটার গ্যাস দেওয়া হয়। মাস শেষের আগেই গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় স্টেশন বন্ধ করা হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতে স্টেশনটি চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে, হঠাৎ করে ৭টি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক গ্যাস সংকটে পড়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিকরা। গ্যাস কম নিতে পারায় পুরো দিন রাস্তায় অটোরিকশা নামাতে পারছেন না তারা। এই অজুহাতে চালকরা কয়েকগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ফারুক আহমেদ নামে একে যাত্রী বলেন, হবিগঞ্জ বানিয়াচং সড়কের সাধারণ ভাড়া ৪০ টাকা। কিন্তু চালকরা এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা নিচ্ছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে হবিগঞ্জের চালু থাকা এম হাই অ্যান্ড কোং ফিলিংসহ চারটি স্টেশনে অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এ সময় অটোরিকশাচালক রাজু আহমেদ বলেন, মাত্র ৪টি স্টেশন চালু থাকায় চাপ বেড়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে থেকেও পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ভাড়া বেশি নিতে হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *