বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টি-টুয়েন্টি সিলেটে দর্শক স্রোত

খেলাধুলা সিলেট

সিলেটে আফগানিস্তানের সাথে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রুদ্ধশ্বাস জয় পায় বাংলাদেশ। সেদিনও দর্শকে ঠাসা ছিলো স্টেডিয়াম। কাল শেষ টি-টুয়েন্টিতে অর্থাৎ সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে দর্শক ঢল ছিলো অরো বেশী। প্রায় ২০ হাজার ধারন ক্ষমতার মাঠ পূর্ণ হয়ে বাইরেও হাজারো দর্শক ছিলেন ভেতরে প্রবেশের অপেক্ষায়।
অপেক্ষায় থাকা দর্শকরা টিকিট কালোবাজারীরও অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেছেন, নির্ধারতি বুথে টিকিট না পেলেও ভিন্ন পন্থায় অধিক দামে টিকিট পাওয়া সহজ। যাদের সামর্থ্য আছে তারা অধিক দামে টিকি কিনলেও অসচ্ছলরা এতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু এসব বৈষম্য দেখার কেউ নেই।
ম্যাচ শুরুর আগেই পুরো গ্যালারি দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। গ্যালারি কোন সিট ফাঁকা দেখা যায় নি। দর্শকদের এমন উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ওয়ানডে সিরিজে চট্রগ্রামে যেখানে দর্শকের জন্য হাহাকার ছিলো, সেখানে ব্যতিক্রম সিলেট। এখন একটা শ্লোগান তৈরী হতে পারে ‘সিলেট মানেই দর্শক’।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, সিলেটের মাঠে সবসময়ই দর্শক উপস্থিতি বেশি হয়। সেটি ফুটবল হোক বা ক্রিকেট হোক।
কাল স্টেডিয়াম ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই নানা সাজে নানা বেশে লাক্কাতুরা চা বাগান সংলগ্ন স্টেডিয়ামটিতে দলবেঁধে প্রবেশ করেন দর্শকরা। সময় যত গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে দর্শক উপস্থিতি।
বেলা ২টা থেকেই আম্বরখানা, হাউজিং এষ্টেট, বাদামবাগিচা, মজুমমদারি, বড়বাজার, চৌকিদিঘী এলাকার দিকে দর্শক স্রোত দেখা যায়। এসময় রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা যায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *