বাইরে কঠোর, ভেতরে উদার ‘বিএনপি’

সিলেট

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা আছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এ কারণে মেয়র পদে এখন পর্যন্ত কারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা শোনা যাচ্ছে না। তবে ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করা থেকে। 

দুই শতাধিক কাউন্সিলর পদে বিএনপির শতাধিক নেতা ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এই সংখ্যা বাড়ছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর জানা যাবে বিএনপির কতজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ইতিমধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যারা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন, তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বহিষ্কার করা হবে আজীবনের জন্য।

সাংগঠনিক সম্পাদকদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা দলের হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছানোর পর তাদের বহিষ্কার করা হবে।’

জানা গেছে, আগ্রহী প্রার্থীদের অধিকাংশই বিএনপির সাবেক নেতা, সমর্থক বা বর্তমান কাউন্সিলর।এ অবস্থায় আগ্রহী প্রার্থীদের কঠোর বার্তা দিয়েছে দলটি।

তবে দলটির একাধিক সিনিয়র নেতা মনে করছেন, কঠিন বার্তা গেলেও জয়ীদের ব্যাপারে খুব বেশি কঠোরতা না দেখানোর কৌশলে থাকবে বিএনপি।

দলের সূত্রে জানা গেছে, ফোকাস পয়েন্টে যেহেতু মেয়র প্রার্থীরা এবং এখন পর্যন্ত মূল প্রার্থীদের কেউ এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তাই বিএনপির বলার সুযোগ থাকছে, তারা নির্বাচনে নেই। আবার দলের সাবেক নেতা বা সমর্থক অংশ নিলে সরকারও নানা কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু করার চাপে থাকবে। এ ক্ষেত্রে দলের প্রার্থী না হলেও নিজস্ব ঘরানার প্রার্থীরা নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন। তারা জয়ী হলে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি বড় বার্তা হবে। সরকারের জনসমর্থন নেই বিএনপির এমন বক্তব্য এতে প্রমাণিত হবে।

অন্যদিকে সরকার যদি নির্বাচনে কারচুপি করে নিজেদের প্রার্থীদের জয়ী করতে চায়, তাহলেও একটি বার্তা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য। এসব বিবেচনায় আগের নির্বাচনগুলোর মতো এই নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশগ্রহণকারী দলীয় নেতাদের প্রতি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা গেলেও খুব বেশি কঠোরতা দেখানো হচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের মতে, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে রয়েছেন তারা। এ অবস্থায় তৃণমূলে বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত দিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করতে রাজি না হাইকমান্ড। আবারও ঢালাওভাবে যাতে সবাই অংশ না নেয়, সেদিক ঠিক রাখতে শাস্তির বিষয়টি সামনে রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্কাইপে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রার্থীরা যাতে নির্বাচন বর্জন করেন, সেদিকে নজর রাখতে। সেখানে প্রস্তাব এসেছিল, যারা অংশ নেবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার চিঠি ইস্যু করতে।

এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেননি তারেক রহমান।গত সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়েও জোরালো মত আসে। তবে এই নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলে যেন ভুল বার্তা না যায়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংসদ নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনেই বিএনপি অংশ নেবে না। এমন সিদ্ধান্ত বহাল থাকার পরও যারা কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না, তাদের বহিষ্কার করা হবে।এ বহিষ্কারাদেশ ভবিষ্যতে উঠবে না। কারণ সামনে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে শিগগিরই রাজপথে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ ক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কার হওয়া অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের প্রসঙ্গ তোলেন।’

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু সিটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে খোদ আওয়ামী লীগের কিছু নেতারা বিএনপি পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রার্থী হতে উৎসাহিত করছেন। এই ফাঁদে যারা পা দেবেন, তাদের পরিবারের যে নেতা বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল ২৭ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ এপ্রিল। এরপর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মে, প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মেয়র নির্বাচন নিয়ে দলের যে সিদ্ধান্ত, তা পরিষ্কার। তবে সাবেক কেউ অংশ নিলে তাদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার সুযোগ নেই। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত আসবে।

জানা গেছে, ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। এর মধ্যে অন্তত ২০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে রয়েছেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আমিন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।

তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীক নেই। এখানে ব্যক্তি পছন্দ করে ভোটাররা ভোট দেন। এবারও মানুষ আমাকে চায়। সেই বিবেচনায় প্রার্থী হয়েছি।’

মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শামসুন্নাহারেরও একই বক্তব্য। তার মতে, সিনিয়ররা প্রার্থী হতে পারলে তিনি কেন হতে পারবেন না।

২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব সাঈদ টুকু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ সেন্টু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বদিউজ্জামান বদি, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর সোহরাব হোসেন এবং একই ওয়ার্ডে যুবদল নেতা আতাউর রহমান, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর দিলদার হোসেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে, ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার কাউন্সিলর ও বিএনপি সমর্থক আবদুস সোবহান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০২ সাল থেকে টানা চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত শাহ মখদুম থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বেলাল আহমেদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম পচা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির সহসভাপতি তরিকুল আলম পল্টু, ২০০২ সাল থেকে টানা চারবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বিএনপির সমর্থক আশরাফুল হোসেন বাচ্চু নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

২০১৪ সালের রাসিকে কাউন্সিলর পদে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টিতে জিতেছিলেন বিএনপি বা সমর্থিত প্রার্থীরা। ২০১৮ সালে ২১টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর জিতলেও ৬টিতে বিএনপির সমর্থকরা কাউন্সিলর হন।

২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। এতে কাউন্সিলর পদে অন্তত বিএনপির ২০ নেতা জানিয়েছেন, তারা এবার ভোটে থাকছেন।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও সদর মেট্রো থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাসান আজমল ভূঁইয়া বলেন, ‘দলীয় কোনো নির্দেশনা পাইনি। দুই মেয়াদে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। তাই এবারও নির্বাচন করব। দল থেকে নির্দেশনা এলে ভেবে দেখব।’

১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও বর্তমান কাউন্সিলর ও বাসন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মূসা প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘দুই মেয়াদে কাউন্সিলর ছিলাম। আবারও মানুষের সেবা করতে চাই।’

জানা গেছে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন আলম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমিক দল নেতা ফয়সাল আহমাদ সরকার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে, বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা তানভীর আহমেদ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে, সদর মেট্রো থানার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা ছবদের হাসান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থক খোরশেদ আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রশিদ খান, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপির সমর্থক মজিবুর রহমান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও সদর মেট্রো থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা খায়রুল আলম ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মনির হোসেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থক শামসুল আলম অরুণ কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন।

এ ছাড়া গাছা থানায় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. মাহফুজুর রহমান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, পুবাইল থানা এলাকার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পুবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির নেতা সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন আহমেদ, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য মিলন হোসেন, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমিক দল নেতা আবুল হোসেন ও সেলিম মিয়া প্রার্থী হয়ে মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) ২১ জুন ভোট হচ্ছে। সিসিকে সাধারণ ৪২টি ও সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রেজাউল হাসান লোদী কয়েস, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য বিদায়ী সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রোকসানা বেগম প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।

নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে অনেক নেতাই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। সিসিকে গত নির্বাচন হয়েছিল ২৭টি ওয়ার্ডে। এর মধ্যে ৫টি সাধারণ এবং ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১টিতে বিএনপিপন্থীরা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) ৩১ সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত মিলিয়ে ৪১টি ওয়ার্ডে অন্তত ২০ জন বিএনপির নেতা প্রার্থী হবেন বলে এখন পর্যন্ত ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে টানা তিনবার বিজয়ী কাউন্সিলর ও খুলনা মহানগর সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও টানা দুইবার কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শমশের আলী মিন্টু, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ইমাম হোসেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখি, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান বিশ^াস, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মাহাবুব কায়সার, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর ওয়াহেদুর রহমান দিপু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর মো. গিয়াসউদ্দিন বনি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর মুহা. আমান উল্লাহ আমান সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি চমন আক্তার, সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি আনজিরা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিসেস মনি, সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হাসনা হেনা, সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুন নাহার লিপি, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক কাওছারী জাহান মঞ্জু, সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রোকেয়া ফারুক নির্বাচনে আগ্রহী।

১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বসিক) নির্বাচনে অন্তত ১৫ জন বিএনপি নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী হতে আগ্রহী। ৩০ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে বসিক। এর ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের শ্যালক ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ফারুক মৃধা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মাইনুল হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর অথবা তার ভাই সৈয়দ আফজাল, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ সাদী, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *