বানারীপাড়ায় আদালতের আদেশ অবমাননা করে বিল্ডিং এর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মনিরুজ্জামান

জাতীয়

 

জাকির হোসেন
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের বানারীপাড়ায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করার অভিযোগে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাজার সংলগ্ন মলুহার গ্রামের ত্যু আব্দুল লতিফ’র ছেলে মনিরুজ্জামান ইমারত নির্মাণের কোন প্রকার আইন না মেনে তার একতলা ফাউন্ডেশনের বিল্ডিংয়ের ওপরে প্রথমে দ্বীতল ও পরে তৃতীয়তলা ভবন নির্মাণ করছেন।

এমন অভিযোগ এনে ওই বিল্ডিং লাগোয়া অন্য বসতীদের মধ্যে আক্তারুজ্জান নামের এক ব্যক্তি বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে এইমর্মে প্রথম ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে চেয়ারম্যান তার কাছে করা অভিযোগের বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বরাবরে জানান।

ইউএনও অভিযোগ পেয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ বানারীপাড়া উপজেলা এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরকে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে দাখিল করেন। তিনি (ইউেনও) দাখিলকৃত প্রতিবেদন পেয়ে বির্ডিংয়ের মালিক মনিরুজ্জানকে লিখিতভাবে এই আদেশ দেন যে, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সমূহের আওতা বহির্ভূত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের অধিক্ষেত্রাধীন নকশা বহির্ভূত ও অনুমোদন বিহীন নির্মাণ কাজ শুরু করলে একজন জনৈক্য ব্যক্তি (আক্তারুজ্জান)

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিধি বহির্ভূতভাবে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন এবং ড্রয়িং’র ডিজাইন বাদ দিয়ে ও মাটি পরীক্ষার কাগজপত্র হাতে পাওয়ার আগেই এক এবং দ্বীতিয়তলা নির্মাণ ও তৃতীয়তলার কলাম, সিঁড়ি ও বীমসহ অন্য কাজের সাথে সরবরাহকৃত ড্রয়িং’র কোন মিল নেই। এছাড়াও কাজের মান নিম্ন মানের হওয়ায় যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং এটা ইমারত আইন অনুযায়ী ১৯৫২ এর ২ এবং ৩ ধারার সুস্টষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ভবনটি অপসারণ করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পরে মনিরুজ্জান বাদী হয়ে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল মোকাম বরিশালের বিজ্ঞ বানারীপাড়া সহকারি জজ আদালতে, বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরীন তন্বী, এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির, ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম ও পরিষদের সচিব বিনয় ভূষণ সরকারকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেণ। যাতে করে তার নির্মাণাধীন ভবন অপসারণ করতে না পারে এবং তার চলমান কাজ স্থিতি অবস্থায় থাকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

১৪ কার্যদিবসের পরে বিবাদীরা তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার লিখিত জবাব দেন। পরে আদালত আগামী ৩১ জুলাই মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেণ।

এদিকে মো. মনিরুজ্জান নিজেই আদালতে নির্মাণ কাজ স্থিতি অবস্থার নিষেধাজ্ঞা চান, তবে মামলার শুনানী বা রায় হবার আগেই স্থানীয়ভাবে জানা যায় তিনি তার বিল্ডিং’র কাজ করাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরীন তন্বীর কাছে জানতে চাইলেে, তিনি বিষয়টি ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে জেনে নিতে বলেন। চেয়ারম্যান জানান, মনিরুজ্জান বাংলাদেশের ইমারত নির্মাণ আইনের প্রচলিত কোন আইনই মানতে চাচ্ছেন না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *