বানারীপাড়া প্রতিনিধি//
বরিশালের বানারীপাড়ায় মানব পাচার মামলার আসামিরা আজও গ্রেপ্তার না হাওয়ায় বাদীপক্ষের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা এবং রয়েছে নানা অভিযোগ। উপজেলার বাইশারী গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে রাসেল হোসাইন বাদী হয়ে উজিরপুর কাকড়াদাড়ির কাঞ্চন আলী মল্লিকের ছেলে হাফিজুর রহমান, বানায়পাড়া উপজেলার বাইশারি গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে মৌমিতা ইসলাম, মৃত সুন্দর আলীর ছেলে আইয়ুব আলী, রাজু মৃধার স্ত্রী লাভলি বেগম, আকবর আলীর স্ত্রীর সাহানাজ পারভীন, মেহেদী হাসানের স্ত্রী তানিয়া আক্তার, গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বাসুদেব চন্দ্র রায়, বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ও ভিসা অফিস বরিশালের উপ-পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে বিবাদী করে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ১২০ / ২৪ নং মানব পাচার মামলা দায়ের করে। মামলা সূত্রে জানা যায় আসামি মৌমিতা আক্তার বাদী রাসেল হোসাইনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। তাদের ঘরে ৪ বছর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই শিশু কন্যা জন্ম নিবন্ধনের আইডি নং ২০১৯০৬১১০২১১০২৭৮৪। ০১ নং আসামি হাফিজুর রহমানের সাথে জোক সাঁজেস করে বাকি আসামিরা মিলে উজিরপুর গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বাসুদেব চন্দ্র রায়ের সহযোগিতায় বাদী রাসেল হোসাইনের ৪ বছরের শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকা সুবাহর জন্ম নিবন্ধন কার্ডে বাবার নাম পরিবর্তন করে হাফিজুর রহমান দিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধন তৈরি করা হয়। নতুন জন্ম নিবন্ধন আইডি নং ২০১৯০৬১৯৪৩১১২৬৯৭৬। বিবাদীরা বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেনের মাধ্যমে একটি পাসপোর্ট তৈরি করে যার নম্বর A১৫৯৪০৬৪০। ওই পাসপোর্টে অবৈধ ভাবে পিতার নাম পরিবর্তন করে হাফিজুর রহমান রাখা হয়। পরবর্তীতে আসামিরা মিলে শিশু বাচ্চাকে গত ২৬ই জুন তু্কি এম্বাসির মাধ্যমে তুর্কি এয়ারলাইন্সে ৬/২০ মিনিটের ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করে এবং বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তুর্কির আওতাধীন সাইপ্রাস এ নিয়ে যায়। বর্তমানে অসহায় বাবা তার চার বছরের শিশুকন্যাকে ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আদালত থেকে বানারীপাড়া থানায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলে বাদীর অভিযোগ রয়েছে আসামিদেরকে ধরার জন্য কোনরকম তৎপরতা নেই দায়িত্বরত অফিসারের।