বরিশাল প্রতিনিধি;
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মলুহারে সন্তানের হাতে মা শাহানাজ বেগম মারধরের স্বিকার না হয়েও মারধরের স্বিকার হবার নাটক সাজিয়ে স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঐ শাহনাজ বেগমের স্বামী আবু বকর তোতা। তিনি জানান আমার ঘরে দুইটি সন্তান। দুজনই আমার আপন। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানাজ বেগমর কাছে আমার প্রথম স্ত্রীর সন্তান সৎ ছেলে হলে ও আমার কাছে কোন সন্তানই সৎ নয়। আমি আমার সম্পত্বি দুই সন্তানের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছি।
মলুহার বাজারে একটি দোকান ঘর ছিল। যা সরিয়ে আমি নিজে দাড়িয়ে থেকে রাস্তা করে দিয়েছি উভয় সন্তানের মঙ্গলের জন্য। সেখানে এসে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী অহেতুক রাগারাগি গালাগালি করে। আমি তাকে সেখান থেকে সরে যেতে বললে সে একাকী গড়াগড়ি খায়। আমার বড় ছেলে পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জল ওর সৎ মায়ের সাথে কোন ধরনের খারাপ আচারন করে নি। শাহনাজ বেগম আহত হয়ে স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বামী আবু বকর তোতা জানায় ঘটনাস্থলে কোন ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি। কিভাবে আমার স্ত্রী স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি হলো আর কিভাবে আঘাত প্রাপ্ত হলো তা আমি জানি না। তবে আমার প্রথম ঘরের সন্তান পুলিশ কন্সষ্টেবল সাইফুল ইসলাম উজ্জল তার মায়ের সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরন করে নি। এ দিকে গুরুতর আহত হওয়া সৎ মা শাহানাজ বেগম চিকিৎসা শেষে একদিনের মাথায় বাড়ি চলে গেছেন এ নিয়ে ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে জনমনে। যেখানে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে হতে ডাক্তাররা রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কিভাবে একদিনের মাথায় আহত রোগী বাড়ি আসেন এটাও গভীর ভাবে ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাইফুল ইসলাম উজ্জলসহ বাড়ির লোকজন। বিষয়টি সম্পর্কে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান ওই এলাকায় কোন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নাই। তাছাড়া কোন অভিযোগ ও পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।