বানারীপাড়ায় ১৫ বছরের সংসার ছেড়ে দু’সন্তানের জননী পরকিয়া প্রেমিকের সাথে নতুন সংসারে

জাতীয়

জাকির হোসেন,বরিশাল প্রতিনিধি:

বানারীপাড়ায় ১৫ বছরের সংসার ছেড়ে দু’সন্তানের জননী পরকিয়া প্রেমিকের সাথে অবশেষে নতুন সংসারে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে বানারীপাড়া উপজেলার বলহার গ্রামে।
ফ্রান্স ফেরত রুহুল আমিনের (আমিন) স্ত্রী আসমা আক্তার প্রমান করলো সন্তান নয় পৃথিবীতে পরকীয়া প্রেমিকই বড় এবং আপন। রুহুল আমিন ও স্ত্রী আসমা আক্তারের দীর্ঘ (১৫ বছর) সংসার জীবনে রয়েছে দুইটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া সুমাইয়া তাবাসসুম ও ছোট মেয়ে সূরাইয়া আফরিন (৯)। এই সন্তানদের রেখে রুহুল আমীন প্রবাসে কষ্টার্জীত জীবন অতিবাহিত করছিল স্ত্রী ও সন্তানদের সুখের জন্য। রুহুল আমীনের আপন চাচাতো ভাই শামীমের সাথে এক সময় পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে স্ত্রী আসমা আক্তার। এদের সম্পর্ক গভীর রুপ নিলে আমীনের স্ত্রী গোপনে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তার চাচাতো ভাই আসমার দেবর শামীমকে বিয়ে করেন। এই সংবাদ শুনেই আমিন ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেন। মেয়েদের মুখের দিকে মায়ের স্নেহ ভালবাসা থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সেই কথা ভেবে পুনরায় তিনি স্ত্রীকে ঘরে তুলেন। ভুলে যান পিছনের কষ্টের ঘটনা গুলি। আমীনের ঘরে সুখ শান্তি ফিরে আসে। সন্তানদের নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল ।
পুন:রায় ফ্রান্সে যাওয়ার সময় আসলে রুহুল আমিন ভবিষ্যৎ নিরাপত্ত্বার জন্য বানারীপাড়া থানায় বিষয়টি জানান। তার অনুপস্থিতিতে চাচাতো ভাই শামীম তার সুখের সংসারে কোন সমস্যা বা চির ধরানোর চেষ্টা করতে না পারে। অবশেষে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থানায় সভা সালিশ উপস্থিত থাকা কালীন হঠাৎ সবার সম্মুখে তার স্ত্রী আসমা রুহুল আমিনকে বলেন উনি আমার স্বামী না আমাকে জোর করে রেখেছেন । আমার স্বামী শামীম।
শালিশ বৈঠকে উপস্থিত সবাই বিব্রত হলেন। যে স্ত্রী স্বামীর ঘর হতে বড় সন্তানকে সাথে নিয়ে স্বামীর সাথে থানায় আসলো। সে কিনা দেবরকে দেখেই সুর পাল্টে নিলো। বৈঠকে উপস্থিত সবাই আসমা বেগমকে অনুরোধ করলো সন্তানদের জন্য হলে ও রুহুল আমীনের সাথেই সংসার করার জন্য। কিন্তু আসমা কারো অনুরোধের তোয়াক্কা না করেই তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শামীমের হাত ধরেই চলে যান নিজের দুটি মেয়ে সন্তান রেখে। ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া ছোট মেয়ের কান্নায় ঘটনাস্থলে থাকা উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের হৃদয়ে ব্যাধিত করে। এ সময় মায়ের ছেড়ে চলে যাওয়ায় মেয়েদের মুখে হতাশার চিত্র ফুটে উঠে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *