বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়ার নদীর পশ্চিমপাড়ের ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করতে সবুর খানের সেই
পুরানো স্বরুপ দেখা গেল গত ১ লা জুলাই রাত ৯ ঘটিকায়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির বানারীপাড়া উপজেলার পদ বানিজ্যে সর্বোচ্চ এগিয়ে থাকা উপজেলা বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক সবুর খান উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সভাপতির পদ আকড়ে থেকে বিগত দিনে বানারীপাড়া বি এন পির কর্মকান্ডে কৃষকদলের ব্যানারে কখন ও জনবল নিয়ে কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেনি। তবে অংশগ্রহন করেছে সবুর খান একা নিজে ফটোশেষনের জন্য। এমনটাই প্রায় সব নেতা কর্মীর অভিযোগ। মাঠপর্যায়ে জনসমর্থন না থাকলে লোবিং তদ্ববির ও শীর্ষনেতাদের আর্শীবাদে তিনি জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়কের পদে অদিষ্ঠিত হন। পাশাপাশা তিনি ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতির পদ ও আকড়ে ছিলেন। দিন দিন তার আকাঙ্খা বাড়তে থাকে। উপজেলা বি এন পির কমিটিতে সদস্য সচিবের পদ লুফে নিতে দৌড় যাপের কমটি ছিল না। তথাপিও তোষামদি ও শীর্ষনেতাদের ছায়া ও আর্শীবাদে উপজেলার অনেক বাঘা বাঘা নেতাদের পিছনে ফেলে নিজেন জুলিতে ভরে নেন উপজেলা বি এন পির যুগ্ন আহবায়কের পদ। এখন তার কৃষকদলের সভাপতি পদটি কাকে দিবেন সেটা নিয়ে আলোচনায় বসেন তার পরিবার পরিজনদের সাথে। কারন বি এন পি তার কাছে পারিবারিক দল। অবশেষে পারিবারিক আলোচনায় কৃষকদলের আহবায়কের পদটি বিগত দিতেন যুগ্ন সাধারন সম্পাদকে দিয়ে তার ভাগ্নে উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিবের পদটি দেয়া হয়। পাশাপাশি নিজের ভাই আত্মীয় স্বজনদের দলীয় পোস্ট দিতে গিয়ে ত্যাগী নেতা কর্মীদের রাখছেন দল থেকে দূরে। এর পর থেকেই নিজের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠে সবুর খান। বিগত দিনের দলের নিবেদিত প্রান, সক্রীয় নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে দলীয় হাইকমান্ডের কাছে খারাপ বানিয়ে রেখেছে সবুর খান তার নিজের স্বার্থে। এলাকার একাধিক নেতাকর্মী জানায় বি এন পির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুর সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় তাকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে তার ইচ্ছামত ভাই,ভাগ্নেদের ও পছন্দের লোকদের পদ পদবীতে স্থান করিয়ে দেয়। যা গোপনে তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে বলে পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা জোড় গলায় জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১ লা জুলাই জিয়া মঞ্চ এর সহ সাধারন সম্পাদক এস এম তারেক সরদার, শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক জুয়েল লস্কর, বরিশাল জেলা জিয়া মঞ্চ যুগ্ন আহবায়ক মিলন বেপারী, মিজান, যুবদল নেতা সুমন বেপারী বানারীপাড়া উপজেলা বি এন পির আহবায়ক শাহ আলম মিয়া দীর্ঘদিন ভারতে চিকিৎসা শেষে উদয়কাঠির নিজ বাড়িতে এলে তাকে দেখতে তার বাড়িতে যান। আসার পথে চায়ের
চায়ের দোকানে উপজেলা বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক সবুর খানের সাথে দেখা হলে সবুর খান চায়ের বিল দিতে চাইলে সুমন বেপারী বলেন থাক ভাই, আপনার দেয়া লাগবে না, আমরা দলের জন্য সব কিছু করি কিন্তু আপনি আমাদের কোন জায়গাতেই আসতে দেন না, আপনার চায়ের বিল দিতে হবে না। বিষয়টি তর্কাতর্কির মধ্যে ওখানে শেষ হলেও নিজেকে অপমানিত বোধ করেন সবুর খান। প্রতিশোধ নিতে রাত ৯ টায় নিজের সন্তানদের ও ভাগ্নেসহ ১৫/২০ জনার একটি দল শিয়ালকাঠি খেয়া
ঘাটে আসেন সুমন বেপারীকে খুজতে। সুমন বেপারীকে পেয়ে সবুর খান সুমনকে লক্ষ করে চাপাটি দিকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করে। সবুরের সাথে থাকা ছেলেরা, ভাইগ্না সুমনকে এলোপাথারী মারধর শুরু করে। এর পর শুরু হয় পালাটা মারামারি। সবুরের লোকজন মারামারিতে নিজেরা সহ প্রতিপক্ষরা আহত হয়। এলাকায় ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় জিয়া মঞ্চের সহ সাধারন সম্পাদক তারেক সরদার ঈদ উপলক্ষে এলাকায় এলে সেই ঐ হামলার স্বিকায় হন। প্রথমে হামলার বিষয়টি জিয়া মঞ্চ এর কেন্দ্রীয় সহ সাধারন সম্পাদক এস এম তারেক সরদার, শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক জুয়েল লস্কর, জিয়া মঞ্চ’র বরিশাল জেলার যুগ্ন আহবায়ক মিলন বেপারী, মিজান, যুবদল নেতা সুমন বুঝে উঠতে না পারলেও সবুর খানের এলোপাথারী হামলার প্রতিবাদের মুখে টিকতে পারেনি সবুর বাহিনী। রাম রাজত্ব কায়েম করতে সবুরের মিশন ব্যর্থ হওয়ায় এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের দমনকরতে নতুন কৌশলে আগাচ্ছে সবুর খান। হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কম্প্লেক্স, বরিশাল শেরে বাংলা, স্বরুপকাঠী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলা যুবদল নেতা সুমন, বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক সবুর খান, তার ছেলে সুজন খান ও আব্দুল্লাহ আসিফ খান, ভাগ্নে উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব হাসিবুল ইসলাম সুমন, মজিবর ফকির’র ছেলে রাসেল।