শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
বাণীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি উর্বর কৃষিজমিতে মোংলা বন্দরের পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে ধ্বংস করা যাবেনা। কৃষিজমি ধ্বংস করে কোন উন্নয়ন করা যাবেনা। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন মোংলা বন্দরকেও মেনে চলতে হবে। বিকল্প জায়গা থাকা সত্ত্বেও কৃষিজমিতে বালু ফেলার গোয়ার্তুমি করা থেকে মোংলা বন্দরকে সরে আসতে হবে।
২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে বাণীশান্তা বাজারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাপা সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল একথা বলেন।
সোমবার বিকেল ৩টায় জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক নেতা হিরন্ময় রায়।
জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাপা’র কেন্দ্রিয় নেতা মো. নূর আলম শেখ, আব্দুল করিম কিম, তোফাজ্জেল সোহেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ক্রীড়া সংগঠক মোর্তজা রশিদী দারা, বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সঞ্জিব মন্ডল, বিশ্বজিৎ মন্ডল, সত্যজিৎ গাইন, ইসরাফিল বয়াতি, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, ইউপি সদস্য পাপিয়া মিস্ত্রি, কৃষাণী বৈশাখী মন্ডল প্রমূখ।
জনসভায় প্রধান বক্তা শরীফ জামিল বলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের নানা ধরনের ভয়ভীতি, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের হুমকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন উপক্ষো করে বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনকারীদের উপর কোন ধরনের হামলা-মামলা চালালে সারা বাংলাদেশের তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক নেতা হিরন্ময় রায় বলেন দাকোপ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ কৃষিজমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। আমরা জীবন দেবো তবুও আমাদের কৃষিজমিতে মোংলা বন্দরকে বালি ফেলতে দেবো না। জনসভার আগে প্রধান অতিথি বাপা সভাপতি সুলতানা কামাল বাণীশান্তা-ভোজনখালি বিলের আমন ধানের ক্ষেত সরেজমিন পরিদর্শন করেন।##
শেয়ার করুন