বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম

জাতীয়

গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পাইকারি বিদ্যুতে আগের দাম বাহাল রেখেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল আজ বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। আমরা এর মধ্যে অনেকবার বসেছি। আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। আজকে শেষদিনে আমরা ঘোষণা করলাম।

বিইআরসির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান খানসহ অন্যান্য সদস্য ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) আবেদন করে বিইআরসির কাছে। প্রস্তাবে বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি তুলে দিয়ে দাম বাড়ানোর কথা বলা হয় হয়। বর্তমান দাম ইউনিটপ্রতি ৫ দশমিক ১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫৮ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবের ওপর শুনানি শেষে গত ১৮ মে বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে জ্বালানি খাতের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার বিদ্যুতের পাইকারি এবং খুচরা দাম একসঙ্গে বাড়ায়। তখন প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সরবরাহ মূল্য ৫ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও পাইকারি দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১১বার। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

এদিকে জ্বালানি সংকটের কথা বলে গত জুলাই থেকে সরকার শিডিউল লোডশেডিং দেওয়া শুরু করে। অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হলেও সমস্যা আরও বেড়েছে। এখন দিনে পাঁচ/ছয়বারও বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *