বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দুটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আগামীকাল সোমবার এই দুই দলের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
২৬ জুলাই পর্যন্ত এই দল দুটির বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে তা দাখিল করা যাবে। পরবর্তী সময় আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়া কোনো দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। গত বছরের অক্টোবরে নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদনের নির্ধারিত সময়ে মোট ৯৩টি দল ইসির নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দলের কাগজপত্র সঠিক পায় ইসি। গত এপ্রিলে এই ১২ দলের দেওয়া মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করেন ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক বাছাই শেষে দল গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ১২টি দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ২টি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাই শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই দলের ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির তথ্যসহ সব তথ্য যথাযথ পাওয়া গেছে। বাকি ১০টি দলের ক্ষেত্রে মাঠের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য বেশ কিছু শর্ত মানতে হয়। নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী নতুন দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক (২১) জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মহানগর থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সংবলিত দলিল থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে যে ১২টি দল টিকেছিল, সেগুলো হলো—এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
শেয়ার করুন