বিএনপির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে কে, প্রশ্ন কাদেরের

রাজনীতি

বিএনপির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনসমাগম করার জন্য তাদের নেতৃত্ব প্রয়োজন। কে নেতৃত্ব দেবে এই আন্দোলনকে? কে নেতৃত্ব দেবে আগামী নির্বাচনে? সেই লোকটি কে? তারা তো নির্বাচনের যোগ্য না। যে দুইজনের কথা বলবেন তাদের একজন লন্ডনে, আরেকজন জেলে। জেলে মানে শেখ হাসিনার উদারতায় বাসায় আসছেন। কিন্তু সি ইজ কনভিক্টেড।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিরোধী জটকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, সময় গড়িয়ে যাবে, অনেক পানি বয়ে যাবে। অনেক পরিবর্তন হবে। গেলো বারও নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে এসেছে। জিরো প্লাস জিরো অনেক দল আছে। তবে তাদের জোটের ফল সুখকর হবে না।

আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে কাদের বলেছেন, ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। তবে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আক্রান্ত হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি কী জবাব দেবে, প্রশাসন জবাব দেবে, নাকি পার্টি দেবে, সেটা সময় বলে দেবে।

তিনি বলেন, তিনি (তারেক রহমান) ১০ তারিখে আসবেন শুনলাম, ৩০ তারিখে আসবেন শুনলাম। আসলে দেশে ফিরে আসার সৎ সাহস তার আছে বলে বাংলাদেশের লোক এখন আর বিশ্বাস করে না।

দেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের কত লোক আজ  কারাগারে। সরকারের কত লোক দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছে। তারপর দুদকের মামলায় অনেকেই কারাগারে আছেন। অনেকে কনভিক্টেড হয়ে গেছে। আমাদের এখানে তো বিএনপিরও অনেকে জামিন পাচ্ছে।

বিএনপি নেতাদের জামিন প্রসঙ্গে কাদের বলেন,  তাদের দাবি অমূলক। বিচার ব্যবস্থায় সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসূফ হাসান হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ, সাধারণ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *