বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ড: সিসিটিভির ফুটেজ দেখে খুনিদের সনাক্ত

সিলেট

বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব থেকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া যুবকদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ । তবে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মামলা দায়ের হয়নি। সোমবার (০৭ নভেম্বর) ময়নাতদন্থ শেষে লাশ পরিবারে কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাইনুল জাকির এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, রোববার রাত ৯ টার দিকে মহানগরের আম্বরখানা বড় বাজার এলাকায়  দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল।  তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক। তাঁর বাসা মহানগরের সুবিদবাজার এলাকায়।

বিএনপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে রাত ১১ টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। লাঠিসোটা নিয়ে এই মিছিলে অংশ নেন অনেকে।

মিছিল থেকে সিলেট ও জেলা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষ্যে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত তোরণ ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সিলেট জেলা ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভার স্থান রিকাবীবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটরিয়ামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্র্রীর ছবিসম্বলিত বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। রিকাবীবাজারের কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে রোববার সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (০৭ নভেম্বর) সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য রিকাবিবাজার পয়েন্টসহ আশপাশে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিসম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড টানিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলকে ধাওয়া দেন। দুপক্ষের মাঝে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এসময়। এছাড়াও এসময় কয়েকটি দোকানের শাটার ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। একটি মোটরসাইকলেও আগুন দিয়ে পুড়ানো হয় এসময়।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপক্ষকে দুদিকে তাড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, রাতের মধ্যে ছবি ভাঙচুরকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রতিহত করা হবে।

মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আজকে রাতের মধ্যে এই সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হলে ১৯ নভেম্বর সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রতিহত করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *