দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, জামায়াত শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। তাই সংঘাত এড়াতে কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন যেহেতু বলেছে কর্মদিবসে নয়, ছুটির হলে তারা অনুমতি দেবে। তাই আমরা আজকে কর্মসূচি থেকে বিরত থেকে ছুটির দিনে বিক্ষোভের অনুমতি চাইবো।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন যদি নাগরিক এবং সাংবিধানিক অধিকার মেনে চলে তাহলে জামায়াতকে পরবর্তী কর্মসূচি পালনে বাধা দেবে না।
এদিকে আজ সোমবার (৫ জুন) ১১ টায় কর্মসূচি পালন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে দলটির। সেখানে তারা বিস্তারিত জানাবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য নিবন্ধন জরুরি নয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল করার জন্য নিবন্ধন কিংবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। এই সমাবেশে বাধা দেওয়া মানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়া, গণতন্ত্রের পথে বাধা দেওয়া।’
জামায়াত নেতারা বলছেন, পুলিশের থ্রেটে নয়, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মসূচি পেছানো হচ্ছে। আজকে কর্মসূচি পালনে সবধরণের প্রস্তুতি জামায়াতের ছিলো।
গত সোমবার জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিক্ষোভের অনুমতি চাইতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গিয়ে আটক হয়েছিল। যদিও কিছু সময় পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।