বিডিআর বিদ্রোহ হত্যার ঘটনা পুনরায় তদন্তে কমিশন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল

জাতীয়

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তে কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্রসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, পুলিশের আইজি ও র‌্যাব মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।

রিটকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার নেপথ্যের কারণ জানতে চায় দেশের জনগণ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুনঃতদন্তের কথা বললেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই রিট আবেদন করা হয়েছে।

পিলখানা ট্র্যাজেডির পর জাতীয় তদন্ত কমিশনের একজন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের বরাত দিয়ে আইনজীবী বলেন, ওই সময় সরকারের হস্তক্ষেপে শুধু কাগুজে তদন্ত হয়। এর প্রতিবাদ করলে তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। দায় এড়াতে তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ অসংলগ্ন কথা বলছেন বলেও জানান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

এর আগে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে রিট আবেদন করা হয়।

একই সঙ্গে বিডিআর বিদ্রোহের দিনকে সৈনিক শহীদ দিবস এবং হতাহতদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিট আবেদনে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদসহ দুই আইনজীবী এই রিট আবেদন করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *