স্টাফ রিপোর্টার:
সিলটের বিশ্বনাথে দীর্ঘদিন ধরে আভ্যন্তরীণ কোন্দল আর বিরোধে জর্জরিত নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর ছাত্রদল। সর্বশেষ বিশ্বনাথ সরকারী কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুগ্রুপের বিরোধ এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি ছাত্রদলের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের তামজিদ আহমদ নামের এক ছাত্রদল নেতা মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘঠনায় তিনি বাদী হয়ে গত ১৮ নভেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে ছাত্রদলের অপর গ্রুপের ২৯জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বিশ্বনাথ সি.আর মামলা নং ৭৬/২০২৪।
জানাগেছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশ্বনাথ সরকারী কলেজে ছাত্রলীগ ব্যতীত অন্যান্য ছাত্র সংগঠন গুলি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে। কিন্ত কিছুদিন যেতে না যেতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। কলেজ ক্যাম্পাসে উভয় পক্ষ অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনের পাশাপাশি সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়। এরপর এম ইলিয়াস আলীর পত্নী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা দুগ্রুপকে ডেকে নিয়ে কঠোর দমক দেন। কিন্তু এতেও কোন কাজ হয়নি। গত ১২ নভেম্বর বিশ্বনাথ থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে বিশ্বনাথ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের নেতা ও বিশ্বনাথ পৌরসভার স্থানীয় কারিকোনা গ্রামের শামীম আহমদ এর পুত্র মো, তামজিদ আহমদ এর উপর প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। এতে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ ঘঠনার প্রতিবাদে গত ১৪ নভেম্বর কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে। আর গত ১৮ নভেম্বর সোমবার সিলেট এর দ্রুত বিচার আদালতে আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ (সংশোধনী ২০১৯) এর ৪(১)/৫ ধারা অনুসারে ১) রায়হান আহমদ (২৬), পিতা- মখলিছ মিয়া, সাং- শাহজিরগাঁও, ২) সুজেল আহমদ (২৬), পিতা- মৃত আব্দুল খালিক, ৩) শাহ টিপু (২৯), পিতা- কালা মিয়া, ৪) জিলু মিয়া (৩৮), পিতা- কালা মিয়া, সর্ব সাং- জানাইয়া, ৫) রায়হান (২০), পিতা- লিয়াকত মিয়া, সাং- রাজনগর, ৬) রুপা মিয়া (২৫), পিতা- মৃত তুতু মিয়া, সাং- জানাইয়া, ৭) শেখ সুহাগ (২৮), পিতা- লালা মিয়া, সাং- রামধানা, ৮) খালেদ আহমদ (২৬), পিতা- মোঃ কবির আহমদ, ৯) শাহ সনি (৩৩), পিতা- কালা মিয়া, উভয় সাং- জানাইয়া, ১০) আল আমিন (১৯), পিতা- শামীম আহমদ, সাং- দক্ষিণ মিরেরচর, ১১) শাহ রুপন (২৭), পিতা- কালা মিয়া, সাং- জানাইয়া, ১২) তাজেক আহমদ (৩৫), পিতা- আনফর আলী, সাং- শ্রীধরপুর, ১৩) মিনহাজ আহমদ (২৬), পিতা- লিয়াকত মিয়া, সাং- রাজনগর, ১৪) কামরান হোসেন (২২), পিতা- আব্দুল কাদির, সাং- টুকের কান্দি, সর্ব ডাক ও থানা- বিশ্বনাথ, জেলা- সিলেট সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করে। বিশ্বনাথ সি.আর মামলা নং ৭৬/২০২৪। সিলেটের দ্রুত বিচার আদালত এর ম্যাজিস্ট্রেট
ধ্রুব জ্যোতি পাল বাদীর দাখিলকৃত এজাহারটি আমলে নিয়ে সি. আর এ রেজিস্ট্রিভুক্ত করার নির্দেশ দেন এবং The Code of Criminal Procedure, 1898 এর Section 200 অনুসারে নালিশকারীর হলফান্তে জবানবন্দী গ্রহণ করে
নালিশী দরখাস্তে বর্ণিত অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক খসড়া মানচিত্র, সূচীপত্র, সূচীপত্রের ব্যাখ্যা ও সাক্ষীদের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি গ্রহণ সহ আইনানুগভাবে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক আগামী ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অফিসার ইনচার্জ,বিশ্বনাথ থানা, সিলেট কে নির্দেশ প্রদান করেন।
শেয়ার করুন