বিশ্বনাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবক খুন : আহত-৬, আটক ৬

সিলেট

ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের বিশ্বনাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচা ও চাচাত ভাইদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সৌদি প্রবাসি নুরুল আমিনের ছুরিকাঘাতে খুন হন চাচাত ভাই অটো চালক ছাইফুল ইসলাম (২৮)। সে পেশায় একজন অটো চালক।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আব্দুল মন্নানের পুত্র নিহত সাইফুলের বড় ভাই বদরুল (৩৫), ছোট ভাই ফখরুল (২৪) ও তার চাচি কমরুন নেছা (৪৫), মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র, নুরুল আমি (৪০), তার বড় ভাই নুর ইসলাম (৫০), ভাতিজা সেবুল (২৫)সহ মোট ৬জন।

গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মুত্যুর হয়। তাদের মধ্যে নুর ইসলাম ও নুরুল আমিনের অবস্থা আশংকাজনক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের উভয়কেই সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানাগেছে, চড়চন্ডি গ্রামের আবদুল আজিজ মুন্সি ও নুরুল আমিন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদের উভয়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এর মধ্যে নুরুল আমিন সৌদি প্রবাসি। সে মঙ্গলবার সৌদি থেকে দেশে আসে এবং বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকে ব্যাগ থেকে বিদেশ থেকে আনা ৭ ঘাটি চাকু বের করে সাইফুল পক্ষদের ডাক দেয়।

প্রথমে সাইফুল ঘর থেকে বের হলে তার বুকে ও পেটে চাকু দিয়ে ঘাই দেয়। সাথে সাথে সে মাটিতে পড়ে যায়। এর পর একেক করে সংঘর্ষে ড়জিয়ে পড়েন সকলেই। একে অপরের আঘাতে গুরুতর আহত হন ৬ জন। এমন বক্তব্য নিহত সাইফুলের পরিবারের।

এদিকে প্রবাসি নুরুল আমিনের মা বলছেন, তাঁর ছেলে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসা মাত্রই প্রতিপক্ষ তার ছেলের উপর হামলা চালিয়েছে। নুরুল আমিন শুধু আত্নরক্ষা করেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুন্দর আলী নামের একজনকে আটক করেছে। সে একই ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উভয় পক্ষের ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন চরচন্ডি গ্রামের মৃত: আব্দুল গফুরের ছেলে নুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, একই গ্রামের হাফিজ আব্দুল মন্নানের ছেলে ফখরুল ইসলাম, তার ভাগ্না কদর আলী ও বদরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, জমি-জমা সক্রান্ত বিরুধে সাইফুল নামের একজন খুন হয়েছে। আসামিরা গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *