সিলেটের বিশ্বনাথে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে মেয়ে পালিয়েছে নিশ্চিত হয়েও অপহরণ মামলা করেছেন মা। আর ওই মামলায় পরকিয়া প্রেমিককে আসামি না করে আসামি করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও জামাতা সিজিল মিয়াকে।
সিজিল মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারি ও দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের খেজুর মিয়ার ছেলে। কার ইন্দনে এই সাজানো অপহরন মামলা হয়েছে এনিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার দাবি, মেয়র মুহিবুর রহমানের ইন্দনেই তার বিরুদ্ধে এই অপহরণ মামলা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান আর মেয়র মুহিবুর রহমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে।
জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে কাউকে কোনো কিছু না বলে সিজিল মিয়ার স্ত্রী বাসা থেকে উধাও হয়ে যান। এঘটনায় ৮ অক্টোবর সিজিল মিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। আর এই ডয়েরী মূলে প্রেমিক সাহেল আহমদসহ (২৩) স্ত্রীকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গত ১০অক্টোর দিবাগত রাতে এয়ারপোর্ট থানার উমদার পাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
সাহেল আহমদ ফারুক মিয়ার ছেলে। উদ্ধারের পরদিন বুধবার সাহেল আহমদকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করলেও সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জামিন পায়। আর বৃহস্পতিবার মেয়েকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে নিজ জিম্মায় জামিন দেন আদালত।
কিন্তু মেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর পালিয়ে যাওয়ার ৩/৪ দিন পর পরকিয়া প্রেমিক সাহেল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে চা নাস্তা খেয়ে দেখে আসেন মা। এসময় মেয়ের সাথে দেখা করতে তার মায়ের সাথে ছিলেন তার বাবা, দুলাভাই ও প্রতিবেশী এক খালা’সহ ৬জন। মা, বাবা’সহ তারা ৬জন গিয়ে দেখা করার কথা নিশ্চিত করেছেন পালিয়ে যাওয়া মেয়ে ও তার নতুন শাশুড়ি। কিন্তু মেয়েকে পরকিয়া প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে দেখে আসার পর এবং মেয়ে পালিয়েছে নিশ্চিত জেনেও গত ৪ অক্টোবর মেয়রের বাসায় যান মেয়ের মা। এসময় পালিয়ে যাওয়া মেয়ের মায়ের বক্তব্য’সহ সার্বিক বিষয়টি মেয়র তার ফেসবুক পেজে লাইভ করেন।
এই লাইভ করার পর গত ৮ অক্টোবর মেয়রের নির্দেশেই আদালতে গিয়ে ওই অপহরণ মামলা করেন মেয়ের মা (নং-৩৯১/২০২)। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আর এই অপহরণ মামলা করার নির্দেশের বিষয়টি মেয়র নিজে এই প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন।
জানতে চাইলে মামলার বাদী মেয়ের মা’কে গত দু’দিন ধরে মোবাইল ফোনে, বাসায় ও কর্মস্থলে গিয়েও পাওয়া যায়নি।
শেয়ার করুন