বিশ্বনাথে মৎস্য আড়তের পরিচালকের বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ : আহত ১৬

সিলেট

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের বিশ্বানথে পূর্ব বিরুধের জেরে সাবেক ইউপি সদস্য ও শাহপরান মৎস্য আড়তের পরিচালক হেলাল উদ্দিনের মাহতাবপুর গ্রামস্থ বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের হামলায় তার পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল (২২ আগস্ট) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্বে লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আহতরা হলেন, মাহতাবপুর গ্রামের মরব্বি খলিলুর রহমান, যুবক আলিম উদ্দিন, ছালেহ আহমদ, জাবির আহমদ, জাকারিয়া আহমদ, শাহেদ আহমদ, আবু-সালেহ, হেলাল মিয়া, নজির মিয়া ও বশির আহমদ। তাদের মধ্যে মুরব্বি খলিলুর রহমানের অবস্থা গুরুতর বলে জানাগেছে। হামলার পর দু’পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক প্রায় ২ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় অপর পক্ষে সবুজ মিয়া, এনাথ উল্লাহ, আলীনুর, মাসুদ আহমদ, নুরুল হক, ও সজিব আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার হেলাল উদ্দিন জানান, মাহতাবপুর গ্রামের বশির উদ্দিন, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ইমাম উদ্দিন ও লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার নেতৃত্বে তাদের পক্ষের আখলুছ মিয়া, জসিম উদ্দিন মেম্বার, সবুজ মিয়া, ইদ্রিছ আলী ইমানী, নুরুল হক, সায়েদুল হক, জামিল আহমদ, নেছার মেম্বার, জিয়া উদ্দিন, নওশাদ মিয়া, এবাদুল হক, এনাই মিয়া, কবির আহমদ, মোস্তফা আহমদসহ আরও লোকজন নিয়ে আমার বসত বাড়িতে হামলা করেন। এসময় ঘরে থাকা নগদ সাড়ে ৫লাখ টাকা, ৩ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি আইফোন ও বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ফেলে যায় তারা।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ আগষ্ট বিকেলে প্রতিপক্ষের ওই লোকজন মৎস্য আড়তে আমার তিনটি দোকান ভাংচুর করে ওই ঘটনার পরে থানায় এজাহার দায়ের করলে ক্ষুব্দ হয়ে তার বাড়িতে এই হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ইমাম উদ্দিন বলেন, আমি বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় আছি। হামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে, শুনেছি বিকেলে আমার মৎস্য আড়তে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা চালায় হেলাল উদ্দিন মেম্বারের লোকজন।

লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, সারা দিন থেকে আমি বিশ্বনাথর বাহিরে অবস্থান করছি। কেবা কাহারা হেলাল উদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে হামলা করেছে তা আমার জানা নেই। যে বা যারা হামলা করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এব্যাপারে মাহতাবপুর ক্ষুদ্র মৎস্য আড়তের পরিচালক বশির উদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিন পক্ষ হামলা চালিয়ে তাদের দোকানপাট দখল করতে চেয়েছিল। এরপর আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য সে তার বাড়িতে হামলা করিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, হামলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। মামলা দেওয়া হলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *