বিশ্বনাথে রাগীব-রাবেয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

শিক্ষা সিলেট

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:

সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নস্থ রাগীব-রাবেয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ‘কর্তৃপক্ষের পূর্বা-অনুমতি ব্যাতিত কর্মস্থলে অনুপস্থিতি ও দায়িত্বে অবহেলা’র অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আর এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ফয়ছল আহমদ।

লিখিত আবেদনে রাগীব-রাবেয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ফয়ছল আহমদ উল্লেখ করেছেন, সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানে গেলে তিনি (ফয়ছল) দেখতে পান ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান রেখে এবং কলেজ শাখা বন্ধ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত তবে শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষকসহ অনুপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বাক্ষর রয়েছে।
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরকারী শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ছিফত আলী, সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র সাহা, মাসুক মিয়া, নায়েব আলী, হোসাইন আহমদ, আছমত আলী, অফিস সহকারী নরোত্তম নাথ, অফিস সহায়ক তাজ উদ্দিন এবং কলেজ শাখার পৌরনীতি প্রভাষক মো. শাহজাদা, বাংলা প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।

উক্ত শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ্যালোপাথারীভাবে ঘোরাফেরা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে।
ফয়ছল আহমদ লিখিত আবেদনে আরো উল্লেখ করেছেন, প্রায় সময়ই প্রধান শিক্ষক গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে তাকে (ফয়ছল) অবগত না করে অনুপস্থিত থাকেন এবং পরবর্তিতে অনুপস্থিতির তারিখে উপস্থিতির স্বাক্ষর করেন। গত নভেম্বর মাসে সরকারি কোন ঘোষণা এবং কর্তৃপক্ষকে কোন রকম অবগত না করেই কলেজ শাখার ক্লাস এক মাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অপূরণীয় ক্ষতি করেন। প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে এলাকাবাসী ও গভর্নিং বডি অনেক বারই আর্থিক অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন। কিন্তু তার এসব কর্মকান্ড কমেনি, বরং বেড়েই চলছে। উক্ত প্রধান শিক্ষকের এহেন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানের মান ও শৃংখলা চরমভাবে বিগ্ন ঘটছে। যার কারণে অভিভাবকরা ক্ষুদ্ধ ও উদগ্নিনতায় রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তাই সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন ফয়ছল আহমদ।

এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত (ইউএনও) নুসরাত জাহান ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *