সিলেটের বিশ্বনাথে দীর্ঘ ২৭ বছরেও হয়নি উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন! পদ পদবি ছাড়া শুধু সংগঠনের নাম ধরেই চলছেন উদীয়মান ও প্রবীন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।প্রায় ২৭ বছর পূর্বে ১৯৯৭ সালের প্রথম দিকে যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনে সভাপতি ময়নুল ইসলাম আঙ্গুর আর মাহবুবুর রহমান লিলুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়।
ওই সম্মেলনের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আর সম্মেলনের মুখ দেখেনি যুবলীগের এই সংগঠনটি। সাম্মেলনের জন্য জেলা যুবলীগের নেতারা উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র নেতাদেরকে বার বার দায়িত্ব দিলেও কোন ফল হয়নি।
এসকল দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেরদের আখের গুছিয়ে চলে গেছেন সিনিয়র সংগঠন আ’লীগে।ফলে দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের কমিটি না থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে রয়েছে এই সংগঠনটি।কর্মসূচির ঘোষণা হলে তাহা পালন হয় বিভক্তিতে। তাও অনেকটা নিস্ক্রিয় ও দায়সারা ভাবে পালন করা হয়।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের দাবি দ্রুত সম্মেলন না হলে সংগঠন ধরে রাখা অনেক কষ্টের হয়ে পড়বে।গত ২০১০ সালে ৩ মাসের জন্য শেখ আজাদ, রুনু কান্ত দে ও মাসুদ আহমদকে সম্মেলনের দায়িত্ব দেয় জেলা যুবলীগ। কিন্তু তারা সম্মেলন দিতে ব্যার্থ হন।
সর্বশেষ উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের জন্য ২০১২ সালের ২৩ মে তিন মাসের মেয়াদ দিয়ে ৫১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটিও দেন জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। ওই কমিটিতে ছিলেন মকদ্দুছ আলী আহবায়ক আর যুগ্ন আহবায়ক আশিক আলী ও আলতাব হোসেন। এই দুটি কমিটিই সম্মেলন করতে ব্যার্থ হয়। কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা’সহ অনেকেই চলেগেছেন উপজেলা ও পৌরসভা আ’লীগের বিভিন্ন পদে। আবার অনেকেই নিস্ক্রিয় এবং অনেকেই যুবলীগ নেতা বলে পরিচয় দিয়ে চলাচল করছেন।তারা এখন সিনিয়র সংগঠন আ.লীগের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে কয়েকদিন ধরে কানাঘুষো চলছে উপজেলা যুবলীগের কমিটি দেবে জেলা যুবলীগ। তাহা হচ্ছে অনিশ্চিত আর অনুমান নির্ভর। ফলে পদধারি নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে বিভিন্নভাবে মিছিল মিটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা হচ্ছেন- যুবলীগ নেতা জহুর আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হক, শাহ আলম খোকন, মুহিবুর রহমান সুইট, সোহেল তালুকদার, রুহেল খান, তারা সবাই সভাপতি পদপ্রার্থী বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শামিম আহমদ বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগের দায়িত্ব প্রাপ্তদের নিয়ে বৈঠক করে অচিরেই সম্মেলন করবেন বলে জানান।
শেয়ার করুন