বিশ্বনাথ সরকারি কলেজে শংকু রাণীর অপসারণের দাবীতে ক‌্যাম্পাসে তালা

সিলেট

ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার

‘আর নাই দরকার-শংকু রাণী সরকার, হঠাও শংকু-বাচাঁও কলেজ’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন। কলেজের বিতর্কিত প্রভাষক শংকু রাণী সরকারের অপসারণ দাবীতে সোমবার (৬ মার্চ) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষাসহ সকল প্রকার ক্লাস বর্জন কার্যক্রম শুরু করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উত্তাল পরিস্থিতি নিয়তন্ত্রে আনতে কলেজ অবস্থান নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান ও বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান।

শংকু রাণী সরকারের অপসারণের দাবী কলেজ প্রাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা থেকে গত ১ মার্চ (বুধবার) সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম রোববার (৫ মার্চ) শেষ হওয়ার কারণে সোমবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে কলেজের প্রধান গেইটসহ পুরো ক্যাম্পাসে তালা জুলিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন করতে থাকে সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাড়ে ১২টার দিকে শংকু রাণী সরকার কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইতে পথিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের সাথে তার (শংকু) বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে শংকু রাণীকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় একদফা একদাবী ‘মানুষিক ভারসাম্যহীন শংকু রাণী’কে  অপসারণ করতে হবে, করতে হবে বলে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলেছেন বিষয়টি নিয়ে আর আন্দোলন না করার জন্য, আর কলেজ শিক্ষকদের সাথে বৈঠক করে তিনি মোবাইল ফোনে আঞ্চলিক পরিচালকের সাথে বিষয়টির সুষ্ট সমাধানের জন্য কথা বলেছেন। কলেজ শিক্ষকরা আঞ্চলিক পরিচালকের সাথে দেখা করার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দাবী করেছিলেন, প্রতারণাকে পেশা বানিয়ে নিজের নারীত্বকে পূঁজি করে গায়ের জোরে সর্বক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্থ থাকা ‘সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ভূয়া আইনজীবি, ভূয়া সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী নামধারী কলেজের তথাকথিত প্রভাষক শংকু রাণী সরকারের আচরণে আজ অতিষ্ঠ শিক্ষাক-শিক্ষার্থীসহ প্রশাসনের লোকজন। কলেজকে কলঙ্কমুক্ত করতে দ্রুত শিক্ষক নামধারী ওই প্রতারককে অপসারণ করতে হবে। এটা এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *