বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাদপন্থি ও জুবায়ের পন্থিরা পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সাদপন্থিদের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় মামলা করা হয়। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর একই থানায় জুবায়ের পন্থিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাদপন্থিরা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শুরায়ে নিজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম (৭০), মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর (৫৫), মাওলানা মোয়াজ বিন নূর (৪০), মাওলানা জিয়া বিন কাসেম (৪৫), মুফতি আজিমুদ্দিন (৪৫), মুফতি ওসামা ইসলাম (৪২), মুফতি সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ (৪৫), মুফতি সফিউল্লাহ (৪৫), মাওলানা আনাস (৪৫), হাজী বসির শিকদার (৫৫), মোহাম্মদ মনির হোসেন তুষার উরফে হাজী মনির (৪০), ইঞ্জিনিয়ার মুহিবুল্লাহ (৭০), রেজা আরিফ (৫২), আতাউর রহমান (৫০) ও অ্যাডভোকেট ফরিদ (৪৫)।
মামলার বিবরণে বলা হয়, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের পার্শ্ববর্তী স্টেশন রোড মোড়ে শুরায়ে নেজামের তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট পালনরত তাবলিগের সাথী ও তাওহিদি ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের চলমান নোহা গাড়ি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে হত্যার অপচেষ্টা করে সাথীদের ওপর তুলে দেয়। এতে সাঈদ আহমদকে (২০) গাড়ির নিচে চাপা দিতে চাইলে তিনি দ্রুত সরে পড়ার সময় গাড়ির সামনের ধারালো স্টিলের আঘাতে মারাত্মক জখম হন। ওই গাড়ির প্রচণ্ড ধাক্কায় অপর একজন প্রায় ৫/৭ হাত দূরে ছিটকে পড়ে যান এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। আসামিরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে গুরুতর আঘাত করে অপরাধ করেছেন।
এর আগে শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থি) ২০১৮ সালে ইজতেমায় দুই মুসল্লি নিহতের ঘটনায় সাদপন্থিদের অভিযুক্ত করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সাদপন্থিরা স্টেশন রোড অতিক্রমকালে হামলার ঘটনা ঘটলে সাদপন্থিদের ৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় সাদপন্থি মো. শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জুবায়েরপন্থি ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০/৪০জনের নামে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
শেয়ার করুন