বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদেও নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। রাজনীতিতে আসার পর থেকেই ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হতে পারেন তিনি।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সংসদ ভেঙে দেয়া হলে সদস্য পদ হারান মাশরাফিও। দলীয় প্রধানের বিদায়ে অনেকটা লোক চক্ষুর অন্তরালে ছিলেন তিনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নিশ্চুপ ছিলেন মাশরাফি। যে কারণে ভক্তদের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে সমসাময়িক বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সেখানে প্রশ্ন করা হয় বিসিবিতে কাজ করা নিয়ে। জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর খেলা বাদ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে যাইনি সাধারণত। নিজের কথা আসলে ভাবিনি। যে জায়গায় আমি ছিলাম, হয়তো ওপরের মহলে গিয়ে বলতে পারতাম যে ক্রিকেটে এই কাজটা করতে চাই বা ওই দায়িত্ব নিতে চাই। কিন্তু নিজের কথা বলতে চাইনি কখনোই।’
মাশরাফি বলেন, ‘যখন বলার সুযোগ ছিল, তখনই বলিনি। এখন যে পরিস্থিতি, আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ডে থাকা বা এরকম কোনো দায়িত্ব আমার প্রাপ্য নয়। আমি দাবিও করতে পারি না। যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!’
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যদি ছোট কোনো প্ল্যাটফর্মে সুযোগ আসে, সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বড় পরিসরে বা বোর্ডে গিয়ে বলব, এখন কাজ করতে চাই ক্রিকেট নিয়ে এটা অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যাপার হয়ে যাবে। এই জায়গা থেকে আমার মনে হয়, এটা আমার প্রাপ্য নয়। হ্যাঁ, ক্রিকেট আমার রক্তে আছে। কেউ কখনও সহায়তা চাইলে অবশ্যই পাশে থাকব। কিন্তু বোর্ডে থাকার বাস্তবতা এই মুহূর্তে আমার নেই। ডিজার্ভও করি না।’