‘বিস্ফোরক’ মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইলেন আমির হামজা

রাজনীতি

আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজার ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যের পর সতর্ক করে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তাকে রাজনৈতিক বিতর্কিত বিষয়ে বক্তব্য না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেন, ‘সংগঠন থেকে বিতর্কিত রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য দায়িত্বশীলরা বলেছেন।

দুজন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল জানিয়েছেন- মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় যেন সতর্ক থাকি। কোরআনের তাফসিরের বাইরে আর কিছু বলব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কোনো বিষয়ে তুলনা করে কথা বললেই প্যাঁচ লেগে যায় উল্লেখ করে মুফতি আমির হামজা বলেন, ‘আমি আর এসবের মধ্যে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলে আজান দেওয়া নিয়ে বক্তব্যের সমালোচনা হচ্ছে।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম বলতে গিয়ে মুহসিন হলের নাম বলেছি। এটা মুখ ফসকে হয়েছে। এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। মুহসিন হলে ছাত্রলীগের জমানায় জুলুম-অত্যাচার হয়েছে। বাথরুমে নামাজ আদায় করার কথা শুনেছি। কিন্তু আমার এভাবে বলা উচিত হয়নি। আগামীতে সতর্ক থাকব।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে মদের বোতল নিয়ে বলা কথারও সমালোচনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছিলাম। ক্যাম্পাসে কি হতো সবাই জানে।

আমি কি অপরাধ করলাম। এখন বলেছে, এসব বোতলে পানি খায়। যদি তাই হয় আমি দুঃখিত। ওয়াজ করতে গেলে নানা বিষয়ে তুলনা করে কথা বলি, এতে ভুল হয়। আওয়ামী লীগের আমলে জেলখানায় আমার ওপর অত্যাচার হয়েছে। আমি এখনো সুস্থ নই। কথা বলতে গেলে ভুল হয়, সতর্ক থাকব।’

ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আমির হামজা বলেন, ‘মা হাওয়ার সৌন্দর্যের বর্ণনা প্রসঙ্গে আমি একথা বলেছিলাম। এ জন্য মাফ চেয়েছি, আর কোনোদিন এসব বলব না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী। সম্প্রতি তার বেশ কিছু বক্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়। এক মাহফিলে ‘১৬ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলে আজান দিতে দেওয়া হয়নি’ দাবি করে বক্তব্য দেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা দেখা দেয়।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বলে ছাত্রদল। ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরাও সমালোচনা করেছেন। এর আগে ভারতের দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য ঘিরেও সমালোচনা হয়। এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান আমির হামজা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। এ নিয়েও সমালোচনা চলছে।

 

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *