টানা খরায় হুমকীর মূখে পড়েছিল বোরো ধানের ফলন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে বোরোসহ সব ধরনের ফসলের জমিতে। এতে করে সুনামগঞ্জের হাওরের জমিতে একদিকে এসেছে সজীবতা ও অপর দিকে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রত্যাশা। বোরো ধান তথা মাঠের ফসলের জন্য এই বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন হাওরপারের কৃষক।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের অধিকাংশ কৃষকেরা বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। বোরো জমির অন্যতম উপকরণ হলো সেচ দেয়া। কিন্তু এবার সময়ের আগেই হাওরজুড়ে দেখা দেয় পানি শুন্যতা। ফেটে চৌচির হয়ে যায় বোরো জমি। সম্প্রতির বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য মহৌষধ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এতে উচ্ছ্বাসিত জেলার প্রান্তিক কৃষকেরা।এদিকে টানা কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ায় বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ফসলি জমির বিভিন্ন রকম ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাবে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, সিলেট বিভাগের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। ১২ উপজেলার প্রকৃতি নির্ভর মৌসুমী এ ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল জাতীয় খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হয়। এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এবছর সাড়ে ১৩ লক্ষ ৫২ হাজার মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাবে।
ছাতক উপজেলার ডেকার হাওর (দেখার হাওর) এলাকার কৃষক মসরব আলী বলেন, এ বছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরো খেত শুকিয়ে গেছে। পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় বোরো ধানের অঙ্কুর বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধানের অঙ্কুর বৃদ্ধি ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওর এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, এবার চারা রোপনের সাথে সাথেই জমির পানি নেমে গিয়েছিল। সেচের জন্যও বিল-নদীতে পানি পাইনি। এবার ধানের ফলন নিয়েই আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। সর্বশেষ আল্লাহ রহমের বৃষ্টিতে ভেজায় ফলন ভালো হবে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় বোরো খেতসহ অন্যান্য কৃষি জমির ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে। সেই সাথে বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এছাড়া আম, কাঁঠাল দ্রুত বাড়বে এবং ঝড়ে পড়া বন্ধ
শেয়ার করুন