বেগম জিয়ার চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রার বিষয়ে সবশেষ যা জানা গেল

বাংলাদেশ

দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়া। হঠাৎ করে শরীরের অবস্থা খারাপ হলে ২৩ নভেম্বর ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এরপর ১৪ দিন ধরে হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি।কাতার সরকারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেয়ার কথা ছিল। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে সেদিন পৌঁছায়নি। পরে দূতাবাস থেকে

এমন পরিস্থিতিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন যাত্রা আবারও পেছানো হয়েছে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়াকে রোববার নয়, মঙ্গল অথবা বুধবার নেয়া হতে পারে লন্ডনে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার ওপর।
 
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানানো হয়, জার্মানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে। তবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি জার্মানির কোম্পানি হলেও ভাড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় সব ব্যবস্থাপনা করছে কাতার সরকার।এদিকে শুক্রবার প্রফেসর ডা. এ কিউ এম মহসিনের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের এন্ডোস্কোপি সম্পন্ন হয়। এন্ডোস্কোপি রিপোর্ট অনুযায়ী, তার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন। তবে পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হলেও অপরিবর্তিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শারীরিক অবস্থা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *