শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের প্লানিং মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা এই অভিযোগ করেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) প্রেস ক্লাবে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখান। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বাবা হত্যার বিচার না পেয়ে তাই সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। অপহৃত মাহে আলম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আততায়ীর গুলিতে নিহত আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই।
প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা বলেন, গত ১০ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসি ক্যামেরার সংগ্রহিত ফুটেজে তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ট্রলার ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সুত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝিদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে।
সুমন রানা আরও বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লূত হয়ে এসময় বাবার বিচার চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহে আলম’র বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ’র প্লানিং অ্যান্ড মনিটরিং অফিসার সোহেল রানা, ছোট ছেলে সুমন রানা, মাহে আলম’র ছোট ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আত্মীয় জাহিদ হোসেন, মো: নূর আলম শেখ, খায়রুল হোসেন প্রমূখ।
এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহনযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট হাতে না পেলে কিভাবে মামলা নিব?
শেয়ার করুন