ব্যারিস্টার সুমনের জামিন আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

হবিগঞ্জ

বৈষম‍্যবিরোধী আন্দোলন-কেন্দ্রিক হত্যাচেষ্টা ও হত‍্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার লিটন আহমেদ।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর মিরপুর থানার দুই হত্যাচেষ্টা ও খিলগাঁও থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

মিরপুর থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের বাবুর্চি হৃদয় মিয়া জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা, ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলিও চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর ছাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

মিরপুর থানার অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন আদহাম বিন আমিন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করলে তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে খিলগাঁও থানার হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই দিন বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *