ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে হামলা চালিয়েছেন নির্বাচনে হার মেনে না নেয়া কট্টর ডানপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারোর সমর্থকরা।
স্থানীয় সময় রোববার এসব হামলা চালানো হয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বলসোনারোর সমর্থকরা জাতীয় কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করছেন। তাদের অনেকে কংগ্রেস ভবনের ছাদে উঠে যান। ওই সময় কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ চেম্বার অফ ডেপুটিজে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন আইনপ্রণেতারা।
বলসোনারো সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনের ছাদে একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেন, যাতে লেখা ছিল ‘হস্তক্ষেপ’। এটি দৃশ্যত সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো নিউজে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঘোরাফেরা করছেন বলসোনারোর সমর্থকরা, যাদের গায়ে ব্রাজিলের পতাকার আদলে সবুজ ও হলুদ রঙের পোশাক পরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যকে ঘোড়া থেকে টেনে নামিয়ে পেটাচ্ছেন উত্তেজিত লোকজন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর ভাষ্য, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে হামলায় জড়িত ছিলেন প্রায় তিন হাজার বিক্ষোভকারী, যাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বামপন্থি নেতা লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভার অভিষেকের মাত্র এক সপ্তাহ পর রাজধানীতে সিরিজ হামলা চালালেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলসোনারোর সমর্থকরা।
এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাসিলিয়ায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেন লুলা। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত রাজধানীতেই অবস্থান করবেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
সংবাদ সম্মেলনে হামলার জন্য বলসোনারোকে দায়ী করে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি ছিল, যার সুযোগ নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদী’ ও ‘উন্মাদরা’ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
সাও পাওলোতে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা লুলা আরও বলেন, ‘এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো লোকজন, যাদের আমরা উন্মত্ত নাৎসি, উন্মত্ত স্টালিনপন্থি বলতে পারি…সেটাই করেছে, যা এ দেশের ইতিহাসে কখনও হয়নি।’
শেয়ার করুন