সিলেট মহানগর জামায়াতের লিফলেট বিতরণ

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ও দলদাস নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারী একতরফা গণবিরোধী নির্বাচনের নামে দেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের গণতন্ত্রকামী জনতা ও প্রতিনিধিত্বশীল বৃহৎ রাজনৈতিক দলসমূহ কথিত একদলীয় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন জনগণের সেন্টিমেন্টকে অগ্রাহ্য করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ফের ক্ষমতায় রাখার ষড়যন্ত্র করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণ, আন্তর্জাতিক মহল এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগ প্রহসনের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে ডামি প্রার্থী দিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করছে। ভাগাভাগির প্রহসনের একতরফা নির্বাচন বন্ধ করুন। কারণ জনগণ ঐ পাতানো নির্বাচনে ভোট বর্জনের মাধ্যমে সরকারের ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সার্থে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি ছাড়া কোন পথ খোলা নেই।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে বাকশালী সরকার শুধু গণতন্ত্রকে হত্যাই করেনি, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় জনগণের প্রতি সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তারা লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ থেকে মুক্তির জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার ব্যবস্থা পূনর্বহাল করতে হবে। এজন্য দেশপ্রেমিক জনতাকে পাতানো নির্বাচন বর্জনে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হতে হবে।

তিনি সোমবার সকালে জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীর মেডিকেল রোড কাজলশাহ এলাকায় সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণকালে উপরোক্ত কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, কোতোয়ালী পশ্চিম থানার আমীর মু. আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া সোমবার নগরীর বিভিন্ন থানার উদ্যোগে পৃথক স্থানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

লিফলেট বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে নির্বাচনের নামে প্রহসন বন্ধ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার পুনবর্হাল ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দিতে হবে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান অসহযোগ আন্দোলনে শামিল হয়ে বাকশালী সরকারকে বিদায় করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চলমান আন্দোলনে শামিল হতে হবে। পাতানো নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হবে।