ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী কাপ্তাই সেনাবাহিনী কর্তৃক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি

জাতীয়

আরিফুল ইসলাম সিকদার:

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে মিতিঙ্গাছড়ি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক উপজাতি কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে “পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপ এবং ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। এই অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া সহ রাজপথে কর্মসূচী করে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে।

জেএসএস সন্তুর নিউজ পোর্টাল Hillvoice এ প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় “সেনাবাহিনীর সাদা পোষাক পরিহিত ৬ সদস্য কর্তৃক ১৬ বছরের এক মারমা কিশোরী জোরপূর্বক গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, গতকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯:০০ টার দিকে কাপ্তাই সেনা জোনের ৫৬ বেঙ্গলের অধীন রাইখালীর মিতিঙ্গাছড়ি সেনা ক্যাম্পের সাদা পোষাক পরিহিত ৬ সদস্য রাইখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মিতিঙ্গাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।”

এমন একটি নিউজ ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ভিকটিম স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে জানায়, “সেই ধর্ষিত হয়নি, এমনকি তার সঙ্গে কোনপ্রকার ঘটনা ঘটেনি৷ যা ছড়িয়েছে তা সাজানো ও গুজব। পোষাকে কাউকে সেই দেখেনি। সিভিল সাদা পোশাকে একজন লোক ঘরের বাহির থেকে তার পিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। সে জানিয়েছে তার পিতা গরু চরাতে গেছে৷ এসময় ঘরে তার বন্ধু মেয়ে ও ছেলে বন্ধু ছিল।” জাস্ট এতটুকু ঘটনা।

এখানে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টার অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে এমন জঘন্য অভিযোগ তুলেছে। যা ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী পরিষ্কার।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম বিতর্কিত করার জন্য এবং সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান বন্ধ করতে সন্ত্রাসীরা ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারই বহিঃপ্রকাশ করেছে কাপ্তাইয়ে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *