
বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কলকাতা ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় সিলিং ফ্যান ও দেয়ালে টাঙানো জিনিসপত্র দুলতে দেখেছেন তারা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার বহু মানুষ ঘরবাড়ি ও অফিস থেকে বেরিয়ে সড়ক ও ফাঁকা স্থানে যান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ভূকম্পনের মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর এবং কোচবিহার। এ ছাড়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি টের পাওয়া গেছে। তবে কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (এনসিএস) বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সকাল ১০টা ৮ মিনিটে (ভারতীয় সময়) অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল ঢাকার নরসিংদীতে।
পাকিস্তানেও ভূমিকম্প
এনসিএস- এর বিবৃতি অনুযায়ী, দেশটিতে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূকম্পন হয় বৃহস্পতিবার। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
সাধারণত অগভীর ভূমিকম্প গভীর ভূমিকম্পের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। কারণ, অগভীর ভূমিকম্পের সিসমিক তরঙ্গ ভূমিতে পৌঁছাতে কম দূরত্ব অতিক্রম করে, ফলে ভূমিতে বেশি কম্পন এবং স্থাপনার ক্ষতি ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উত্তর ভারত বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পন প্রবণ অঞ্চল। এখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে প্রায়ই মাঝারি থেকে শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।



