ক্ষেমজুরদের সারা বছর কাজ ও খাদ্য নিশ্চিত করা, আর্মি রেটে রেশন দেয়া, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করা, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, সার সংকট নিরসনসহ ন্যায্যমূল্যে ভেজালমুক্ত সার সরবরাহ করা, পাটের লভজনক দাম নিশ্চিত করা, বন্ধ সকল পাটকল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে চালু করা, অবিলম্বে সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া, ভোট-ভাতের অধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে কেন্দ্র কর্মসূচির অংশ হিসাবে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় টুকেরবাজারে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট এর জেলা সংগঠক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল ইসলাম, সুমন মিয়া, আব্দুল্লাহ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন কুটি, হৃদয় ইসলাম প্রমূখ।
সমাবেশে বাসদ সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু জাফর, স্বাধীনতার পর ৫২বছর ধরে বুর্জোয়া শ্রেণী গদি রক্ষা ও গদি দখলের লড়াইয়ে মত্ত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের গণচেতনা, গণ আকাঙ্ক্ষার রূপে যা স্বীকৃত হয়েছিল সেগুলিকে সমাধির উপর বাণী হিসেবে খচিত করে রাখা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ পথ হারিয়ে দেশি-বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠির দুর্নীতি-দুঃশাসন ও লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। দেশে চলছে একদলীয়-স্বৈরতান্ত্রীক-ফ্যাসিবা
বাসদ সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল বলেন, নিত্যপণ্যেও দাম ক্রমাগত বেড়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার শুধু ব্যর্থই নয় এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। গ্রামীণ খেতমজুর দিনমজুররা দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছে। বছরে ৩ মাসের বেশি তাদের কাজ থাকেনা, নেই খাদ্যের নিশ্চয়তা। বারবার রেশনিং এর দাবি উঠলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ভিজিডি, ভিজিএফ, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পে দুর্নীতি, দলীয়করণের ফলে এই প্রকল্পের সুফল গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীপাচ্ছে না। পাটের মৌসুমে কৃষক পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। সারে সংকট, ভেজাল সার দেয়ায় টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু ফসলের ভালো ফলন হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একদিকে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে আরেকদিকে মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকা কৃষি ঋণ পরিশোধ করতে না পারার কারণে ১ লাখ ৬৮ হাজার কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা ও হুলিয়া জারি করা হয়েছে। হুলিয়ার কারণে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।
শেয়ার করুন