মণিপুরে ফের সহিংসতা, রাতভর গোলাগুলি, হামলা, অগ্নিসংযোগ

জাতীয়

দুই সম্প্রদায়ের উত্তেজনার মধ্যে সহিংসতা থামছে না ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে। সংঘাতপীড়িত রাজ্যটির কোয়াকতা ও কংভাই এলাকায় শুক্রবার রাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যায় শনিবার সকাল পর্যন্ত।

পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজ্যে নাশকতার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধভাবে জড়ো হওয়া ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে।

সহিংসতা দমনে মণিপুরে কাজ করছেন সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ) ও রাজ্য পুলিশের সদস্যরা।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে অ্যাডভান্স হসপিটালের কাছে প্যালেস কমাউন্ডে অগ্নিসংযোগের চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রায় ১ হাজার জন সংঘবদ্ধ হয়ে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার চেষ্টা চালায়।

সংঘবদ্ধ হামলার চেষ্টাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আরএএফ সদস্যরা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়েন। ওই সময় দুই বেসামরিক নাগরিক আহত হন।

ইম্ফলে মণিপুর ইউনিভার্সিটির কাছেও সংক্ষুব্ধ জনতার জড়ো হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এনডিটিভি জানায়, রাজ্যের থংজুর কাছে শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে জড়ো হয় ২০০ থেকে ৩০০ জন, যারা স্থানীয় বিধায়কের বাসভবনে নাশকতা চালাতে চেয়েছিল। আরএএফের একদল সদস্য তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

ইম্ফলের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরিংবাম থানা থেকে শুক্রবার রাতে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে ৩০০ থেকে ৪০০ জন, তবে সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। আরএএফ সদস্যরা সংঘবদ্ধ জনতাকে পিছু হটায়।

সেনাবাহিনীর সূত্র জানায়, সিনজেমাই এলাকায় শুক্রবার মধ্যরাতের পরপরই ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি দল বিজেপি অফিস ঘেরাও করে। সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

মণিপুরজুড়ে এপ্রিল থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যটিতে তফসিলি সম্প্রদায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে মৈতেয়রা দাবি জানায়। এর মধ্য দিয়ে তারা কোটাসহ বনের জমিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চেয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন এর প্রতিবাদ করলে সহিংসতা শুরু হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *