মনিরামপুরে ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ৫ নং হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন আজ (৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু (২৪)কে বাঁশের মোটা লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন।

বাবু একই ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের আমজাদ হোসেন মোল্ল্যার ছেলে।

মোটরসাইকেল জোরে শব্দ করে চালানোর অপরাধে ছাত্রলীগ কর্মীকে চেয়ারম্যান ডেকে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বারন্দায় ফেলে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন।যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাস হওয়ার পর বাবুর মা মেহেরুন্নেছা পরিষদে গেলে তাকেও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়।

এরপরে ছাত্রলীগের ঐ কর্মীকে চেয়ারম্যান ঘরের মধ্যে নিয়ে দরজা আটকিয়ে স্লাইরেঞ্জ দিয়ে মারপিট করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- আজ সকালে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ওয়াজেদ আলী ও রমেশ বিশ্বাস বাবুকে পরিষদ ধরে আনেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যন আলমগীর কবীর লিটন বাঁশের লাঠি দুই হাত দিয়ে ধরে ছাত্রলীগ কর্মী বাবুকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

৫ নং হরিদাসকাঠি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সুবজ বিশ্বাস জানান,ল- বাবু ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী। শুধু মোটরসাইকেলে শব্দ হওয়ার কারণে বাবুকে ধরে নিয়ে মারপিট করেছেন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন। তিনি আরও জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছিল বাবু। এই রাগে বাবুকে নৌকার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন বাবুকে মারপিট করতে পারেন বলে তার দাবি।

ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটন জানান, তার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি মাঠে গ্রীষ্মকালীন খেলাধূলা চলছিল। খেলা চলাকালে বিকট শব্দ করে বাবু মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। এ কারণে তাকে শাসন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হাসান জানান, মোটরসাইকাইকেল চালোনোর সময় পড়ে গিয়ে শব্দ হয়। শুধু এই অপরাধে বাবুকে পরিষদে ধরে নিয়ে পেটান চেয়ারম্যান লিটন। তিনি পরিষদের গিয়ে দেখেন ঘরে মধ্যে আটকিয়ে স্লাইরেঞ্জ দিয়ে মারপিট করছেন চেয়ারম্যান লিটন। চেয়ারম্যানকে নিবৃত করতে গিয়ে তিনিও হেনস্থার শিকার হন।

উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেন লিটন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় আলমগীর হোসেন লিটন দল থেকে বহিষ্কার হন।

থানার ওসি নূর-ই আলম সিদ্দীকি বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *