স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামী ২৫ জানুয়ারি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২শততম জন্মদিন।
দিবসটি স্মরণে আজ শনিবার(২১জানুয়ারি) বিকালে যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মধু কবির জন্মদিন উপলক্ষে বি.সরকার নাট্য মঞ্চে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সুকুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ তমিজুল ইসলাম খান।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন ও সৃষ্ট সাহিত্যের উপর
আলোচনা করেন ড.মুস্তাফিজুর রহমান, অর্ধেন্দু ব্যানার্জী, দিপংকর দাস রতন।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতা আবৃত্তি করেন শ্রাবণীসুর, কাজী শাহেদ নওয়াজ, শিলা দাস।
সংগীত পরিবেশন করেন সুর বিতান, সুরধুনী, উদীচী, পুনশ্চ, স্পন্দন, সপ্তসুরের শিল্পীরা। এ ছাড়া অনুপম দাস, মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন ও আদিবা কামালের গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য বিতানের শিল্পীরা।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন- বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক ও বিদ্রোহী কবি মধুসূদনের সাহিত্যের উপর পড়াশুনা খুবই সীমিত, আমরা তার জন্মভূমি সাগরদাড়ীতে প্রতিবছর অনুষ্ঠান করি। তবুও লক্ষ্য করি কবির সাহিত্য চর্চায় বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ কম। কবিকে চিনতে ও জানতে তার সাহিত্য চর্চা বাড়াতে হবে। শুধু যশোরেই নয় সারা বাংলাদেশে কবির জন্মদিন পালন করা উচিত।অন্তত অনুষ্ঠানের স্বার্থেও কিছু মানুষ কবির সাহিত্য চর্চা করবে।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সানোয়ার আলম খান দুলু।
উল্লেখ্য ঊনবিংশ শতাব্দীর নব জাগরণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি,নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতার পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশতঃ ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন নিজ মাতৃভাষার প্রতি মনোযোগ দেন এবং এ পর্বে তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করেন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।