রিংকু দেবনাথ
মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সহ আশপাশের এলাকায় থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।থামছেই না এইসব যানবাহনের উৎপাত। অটোরিকশার কারনে অন্য সকল পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের নিরাপদ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।এলাকার সাধারণ জনগন এইসব অটোরিকশার উৎপাতে অতিষ্ঠ।কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব যাণ অলি গলি ঘুরে বেড়াচ্ছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের থানা রোডের সামনে দলবেধে রাস্তা দখল করে চলছে অটোরিকশার পার্কিং।ফলে যাণজট লেগেই থাকছে।ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার একমাত্র মহাসড়ক হচ্ছে এটি।এম্বুল্যান্স যোগে মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার এর কারনে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এইসব অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার গুলো বীরদর্পে চড়ে বেড়ালেও দেখার যেনো কেউ নেই।তাছাড়া উপজেলা সদরের পৌরসভা বাজারে অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচলে জন জীবন অতিষ্ঠ।প্রতিদিন ছোট বড় ঝামেলা লেগেই থাকে।সাধারণ জনগন ও এলাকাবাসী মনে করেন অটোরিকশাগুলাকে একটা নিয়মের ভেতরে নিয়ে আসা প্রয়োজন অথবা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া উচিত।ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা একদিকে পরিবেশের যেমন ক্ষতি করে অন্যদিকে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন হওয়ার কারনে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচল বন্ধ করার ব্যাপারে
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম ভুইয়া জানান, মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচলে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।তারপরও মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।আমরা প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছি।অবৈধভাবে চলাচল করা অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার বন্ধের ব্যাপারে মাধবপুরের পৌর মেয়র জানান,পৌর শহরের অলিতে গলিতে বা যেখানে সেখানে অটোরিক্সা কিংবা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল তিনি মোটেও সমর্থন করেন না।মহাসড়কের বিষয় যাদের দেখার তারা দেখবেন।