মায়ের সহযোগিতায় মেয়েকে ‘ধর্ষণ’: আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার

জুড়ীতে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, ব্যবসায়ী সামসুজ্জামান রানু মহালদারসহ মেয়ের মা ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামিনীগঞ্জ লামাবাজারের শামসুজ্জামান রানু মহালদারের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে সাগরনাল ইউনিয়নের ১৫ বছরের  এক তরুনী কাজ করতেন।

ধন্যাঢ্য রানু মহালদারের দুই স্ত্রীর মধ্যে একজন আমেরিকা অপরজন সিলেট শহরে বসবাসের সুবাদে বাসায় কাজ করতেন হোসেনাবাদ গ্রামের হাসনা বেগম। কিছুদিন পূর্বে হাসনা বেগম তার মেয়েকে ঐ বাসায় কাজের জন্য দিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার ( ২৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে  শুক্রবার (১ মার্চ) পর্যন্ত দুইদিন  তাকে ধর্ষণ করে। সে একাধিকবার প্রতিবাদ করলে তার মা এবং শফিকুল ইসলাম নামের আরেকজনের সহযোগিতায় তাকে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে ধর্ষন করা হয়।

এ ঘটনায় তরুনী বাসা থেকে পালিয়ে জুড়ী থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ধর্ষক শামসুজ্জামান রানু মহালদার, সহযোগী তরুনীর মা হাসনা বেগম ও অপর সহযোগী শফিকুল ইসলামকে সোমবার গ্রেপ্তার করে। পরদিন মঙ্গলবার তাদের কোর্টের মাধ্যমে হাজতে প্রেরন করা হয়।

শামসুজ্জামান রানু মহালদার জেলে থাকায় তার এক ভাতিজা বলেন,এ ঘটনাটি সাজানো হতে পারে। তিনি একজন পরহেজগার মানুষ।ব্যবসায়ীক কোন দ্বন্দে হয়তো এ ধরনের নাটক সাজানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া বলেন, ঘটনাটি লোকমূখে শুনেছি। আইনানুগ ব্যবস্থায় পূর্ণ তদন্তের পর যদি তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হোন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ব্যক্তির কোন দায়ভার দল বহন করবে না।
জুড়ী থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মেয়ের  অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *