মা নয়, বাবার কাছেই থাকতে চায় জাপানি শিশু লিনা

জাতীয়

জাপানি বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি শিশু নাকানো লায়লা লিনা বাবার সঙ্গে থাকার আকুতি জানিয়েছেন। সে বলছে, ‘আমি আমার বাবার কাছে থাকতে চাই। আমার বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসি। এজন্য বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে চাই না।’

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নাকানো লায়লা লিনা।

এদিন সকালে বাবা ইমরান শরীফ বলেন, ‘লায়লা লিনা আমার কাছে থাকতে চায়, সে মায়ের কাছে যাবে না। কিন্তু ওর মা ওর ওপর প্রেশার ক্রিয়েট করছে ওকে নিয়ে যেতে। কিন্তু ও যেতে রাজি না। আমি বিষয়টা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

এদিকে বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাকে (১১) নিয়ে আদালতে এসেছেন মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো।

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমানের আদালতে নাকানো লায়লা লিনাকে মায়ের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি বংশোদ্ভূত ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে মর্মে রায় দেন।

জানা যায়, মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন ওই জাপানি নারী।

জাপানি নারী নাকানো এরিকো দুই মেয়েকে ফেরত পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস শুনানির পর হাইকোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।

এদিকে, গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই দুই শিশুর বিষয়ে আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দেয় যে, তারা জিম্মায় থাকবে- তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত শিশুরা মায়ের কাছেই থাকবে। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *