মেজরটিলায় টিলাধসে চাপা পড়া মা-বাবা ও শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার

সিলেট

ভারী বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর মেজরটিলায় টিলাধসে মাটিচাপা পড়া স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলার মাটিচাপা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মৃতরা হলেন আগা করিম উদ্দিন (৩০) তাঁর স্ত্রী সাম্মি রুজি বেগম (২৫) ও তাঁদের ২ বছরের শিশু তানিম। আগা করিম ওই এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ।

এর আগে সকাল ৬টার দিকে নগরীর ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলাধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি পরিবারের অন্তত সাতজন আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

টিলাধসের ঘটনায় শুরুতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা। পরে সেখানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল ৬টার দিকে বিকট শব্দে টিলা ধসের ঘটনা ঘটে। এখানে দুটি পরিবারের সাতজন মানুষ মাটিচাপা পড়ে। তাদের মধ্যে চারজনকে জীবিত ও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। ভারী বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধা পাকা ঘরের ওপরে পড়ে। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল। এতে ওই ঘরের ৭ ব্যক্তি আটকা পড়েন। এর মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সকাল ১০টায় তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের উদ্ধারকর্মী উদ্ধার তৎপরতায় কাজ করেছেন। সিলেটে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। বর্ষাকালে টিলাধসের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’

এই সময়ে টিলার নিচে বা ওপরে কাউকে না থাকার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘অপরিকল্পিত টিলা কাটার কারণে ধসের ঘটনা ঘটছে। তাই টিলা কাটা এবং টিলার আশপাশে থাকা থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নগর ভবনে জরুরি একটি সভার আহ্বান করেছি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করবে সিলেট সিটি করপোরেশন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *