কাতার বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের নাম। লিওনেল মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে সরব উঠেছে আর্জেন্টিনাকে আবারও বাংলাদেশে আনার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেরও (বাফুফে) ইতিবাচক চিন্তা। তবে সেই ইচ্ছা সত্যি করতে গেলে যে টাকা লাগবে, তাতে অঙ্কের পরিমাণে চোখ উঠতে পারে কপালে!
২০১১ সালের ৬সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মেসিদের প্রতিপক্ষ ছিল নাইজেরিয়া। ১১ বছর পর আবারও মেসিদের আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাফুফে। আগামী জুন-জুলাইয়ে ফিফা উইন্ডোতে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঢাকায় আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনের পর এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
মেসিদের আনতে বিশাল অঙ্কের অর্থ লাগবে বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। সঙ্গে আছে মাঠ নিয়ে সমস্যা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে এনে কোথায় খেলানো হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। সালাউদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে আনার চেষ্টা করছি। এখনো পরিপূর্ণ কিছু হয়নি। চেষ্টা করতে তো দোষের কিছু নেই। জুন-জুলাইয়ের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার কথা। এ নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর (জাহিদ আহসান রাসেল) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে সম্ভব নয়। জুন-জুলাইয়ে আমরা চেষ্টা করব।’
তবে প্রতিপক্ষ কে হতে পারে, তা ঠিক হয়নি। সালাউদ্দিন এ বিষয়ে বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ কে থাকতে পারে, সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। আর্জেন্টিনাকে আগে চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রতিপক্ষ ঠিক হবে। এ ছাড়া শুরুতে পিএসজিকে নিয়েও আমরা একটা চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা আছে। পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। মেসি পিএসজিতে না থাকলে এই ক্লাবকে এনে তো লাভ নেই। তাই আর্জেন্টিনাকে আনার চেষ্টা করছি। তারা এখনো ইতিবাচক আছে।’
আর সব ঠিক থাকলে আর্জেন্টিনা ও প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় দল আনতে সব মিলিয়ে ১ কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এখন যার খরচ ১০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। তবে প্রতিমন্ত্রী সবুজসংকেত দিয়েছেন বলেই জানালেন সালাউদ্দিন। তিনি আরও বলেন, ‘আর্জেন্টিনাকে আনার বিষয়টা ব্যয়বহুল। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়? চেষ্টা করতে দোষ কোথায়। আগে (২০১১ সালে) আর্জেন্টিনাকে আনতে প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ ডলার লেগেছিল। এখন ৬-৭ মিলিয়ন ডলার লাগতে পারে। প্রতিপক্ষ মিলিয়ে ১০ মিলিয়ন (এক কোটি) ডলার লাগবে।’
শেয়ার করুন