১মে মহান মে দিবস পালনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে কতিপয় মালিক গোষ্ঠী।
বৃৃহস্পতিবার (২ মে) সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিৃতিতে এসকল কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং চট্ট:১৯৩৩) ১৯৯৩ সাল থেকে মহান মে দিবস পালন করে আসছে যার ধারাবাহিকতায় এবারও ১মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস মহান মে দিবস পালন করে। সংগঠনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতৃবৃন্দ সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশে যোগদান করেন যা লাইভের মাধ্যমে সিলেটের অনেক অনলাইন মিডিয়া প্রকাশ করে। শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হিসেবে মহান মে দিবসে এবার প্রায় ৯৯ ভাগ শ্রমিক কর্মচারী ছুটি ভোগ করে থাকে। কতিপয় হোটেল মালিকরা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে এবং জোরপূর্বক শ্রমিকদের কাজ করান। কিন্তু দুখজনক হলেও সত্য এই কিছু সংখ্যক মালিক শ্রমিকদের ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করে হোটেল ভাংচুরের ঘটনায় সিলেট জেলা হোটলে শ্রমিক ইউনিয়নকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বেশিরভাগ হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও অল্পসংখ্যক মালিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় মালিকদের মধ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্ধ ও রেষারেষির কারণে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়ারদৌস হাসান কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই এই মিথ্যা অপপ্রচার সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রদান করেন তা সঠিক নয়। কেননা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সকাল ১০টা হতে ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কোর্ট পয়েন্টের সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। মালিকের ভাষ্যমতে যখন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে তখন নেতৃবৃন্দ কোর্ট পয়েন্ট থেকে আম্বরখানা রোডে মিছিলে ছিলেন। আমরা আশা করব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে উনার মন্তব্য প্রকাশ করবেন এবং প্রকৃত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করবেন।
বিবৃতিতে আরোও উল্লেখ করে বলেন, মে দিবসে খানাদানা বেতনসহ সর্বাতœক ছুটির কার্যকরের দাবিতে সিলেটের সকল হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিকদের চিঠি প্রদান করা হয়। যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, মালিক সমিতি সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। প্রতিবছর মে দিবস আসলে মালিকরা শ্রমিকদের ছুটি প্রদানে নানা গড়িমসি করে থাকেন। সারাদেশে হোটেল রেস্টুরেন্টে কর্মরত শ্রমিকদের সংগঠিত ও সচেতন করার প্রয়োজনে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশেনের পাশাপাশি সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন প্রচলিত আইন ও নিয়মকানুন মেনে সংগঠন পরিচালনা করে আসছে।
কতিপয় মালিক গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলক, হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে শ্রমিকদের ঐক্য বিভক্ত-বিভ্রান্ত করার হীন অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের জঘন্য মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।