মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

মহান মে দিবসে যশোরের নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা যশোর জেলা শাখা এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আজ সোমবার (১ লা মে) বিকাল ৫ টায় শহরে
রেল -রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এই সভা সম্পন্ন হয়।

বাবু নারায়ণ চন্দ্র সিংহ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমরেড খবির শিকদার, শহর আলী,আফছার আলী,বাসার হোসেন,মানিক মিয়া,সমীর দাস প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিকশ্রেণির ঐক্য ও সংহতির প্রতীক দিবস।মে দিবসের ইতিহাস হলো – সাম্রাজ্যবাদ -পুঁজিবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক ঐক্যবদ্ধ মহান সংগ্রামের ইতিহাস।১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘন্টা শ্রমদিবসের উপর গুলি চালিয়ে অনেককে হতাহত করে, গ্রেফতার করে অসংখ্য শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দকে। তারা ৪ জন শ্রমিক নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে।১৮৮৯ সালে শ্রমিক বিপ্লবের মহান নেতা এঙ্গেলস শ্রমিকদের আত্মত্যাগের স্মরণে ও তাদের দাবি আদায়ে ১ মে শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই বিশ্বজুড়ে মহান মে দিবস শ্রমিক শ্রেণির অধিকার আদায়ের দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে ৮ ঘন্টা শ্রমদিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও মালিক-পুঁজিপতি শ্রেণি কখনোই পালন করেনি।এখনও বাংলাদেশে গার্মেন্টস,হোটেল,পরিবহন শ্রমিকরা দৈনিক ১২/১৪ ঘন্টা শ্রম করতে বাধ্য হচ্ছেন।মালিকরা তাদের নামমাত্র মজুরি দিচ্ছে।কোভিড, রাশিয়া -ইউন্ত্রেন যুদ্ধের অজুহাতে এখন চলছে শ্রমিক ছাঁটাই।হাজার হাজার নারী -পুরুষ শ্রমিক বেকার হয়েছেন।দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি,বাড়ি ভাড়া বাসা,সন্তানদের শিক্ষা -চিকিৎসা খরচ ইত্যাদি বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছরই গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামেন।শুধু গার্মেন্টস শ্রমিক নন, রিক্সা-ভ্যান হোটেল,পরিবহন,চা-শ্রমিক,নির্মাণ শ্রমিক,দোকান কর্মচারি,গৃহকর্মী,মাটিকাটা শ্রমিকসহ শিল্প -কারখানা শ্রমিক এবং শ্রমজীবী জনগণের একই দশা।
আওয়ামী সরকার এখন শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়ার আইন করার ষড়যন্ত্র করছে।

আসুন,মে দিবসের সংগ্রামী শহিদদের রক্তে রন্জিত পথ বেয়ে উপযুক্ত বিপ্লবী চেতনায় সজ্জিত হই এবং রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের বিপ্লবী কাজ এগিয়ে নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *