যশোরে উদ্ধারকৃত গলাকাটা মৃতের পরিচয় সনাক্তসহ গ্রেফতার-২

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় গতকাল উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত মৃতদেহটির পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম ফরিদ গাজী(১৯)।তিনি খুলনা জেলার কয়রা থানার অর্জুনপুর এলাকার মৃত আফিল উদ্দিনের পুত্র। বর্তমানে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের গুয়াখোলা গ্রামের শাহীমোড় এলাকায় জেলেখার বাড়ীতে ভাড়া থাকতেন।
লাশের পরিচয় সনাক্তের পর আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল এগারোটায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

অভয়নগর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে আজ দুপুরে অভয়নগর থানাধীন নর্থ বেঙ্গল এলাকা থেকে শান্ত (২১) ও সাকিব মোল্যা (২৫) নামের দুজনকে আটক করেন।
আটককৃত শান্ত নড়াইল জেলার সদর উপজেলার সাখাওয়াত মোল্যার এবং সাকিব একই এলাকার ছবুর মোল্যার ছেলে।
পুলিশ জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে এবং আটক আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি (বার্মিজ) চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

আসমীদের আটকের পর পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নিহত ফরিদ গাজীর নামে ধর্ষণ মামলা রয়েছে। সে জেলে থাকা কালিন ওই দুই আসামীর সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তিন জন একটি রুম ভাড়া নিয়ে নওয়াপাড়া বেঙ্গল মিল এলাকায় বসবাস করতো। তারা জাহাজের স্কট এর কাজ করতো।কখনো অন্য কাজও করতো। মাঝে মাঝে ছিচকে চুরিও করতো। ফরিদ ঐ দুই বন্ধুর কিছু টাকা আত্মসাৎ করে। আসামীরা দুইজন মিলে ঘটনার দিন সন্ধ্যা রাতে স্যালোমেশিন চুরির লোভ দেখিয়ে ফরিদকে ভৈরবনদের ব্রিজের কাছে এনে জবাই করে ও গলায় চাকু ঢুকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাসার পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফরিদ গাজী বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা করেন যার নং-১৩।

উল্লেখ্য রবিবার (১৫ জানুয়ারী) বেলা তিনটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামস্থ ভৈরব ব্রীজের নিচের একটি সরিষা ক্ষেতের মধ্যে থেকে (২৫) বছরের এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে অভয়নগর থানা পুলিশ তবে মৃতদেহটি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় স্থানীয়রা।এসময় পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় নেন তাতেও সনাক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে মৃতদেহের পকেটে থাকা চিরকুট ( যাহাতে একটি মোবাইল নম্বর ছিল) পাইয়া মোবাইল নম্বরের ব্যক্তিকে সনাক্তপূর্বক প্রথমে তার সনাক্ত পরে মৃতের পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *