যশোরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

পাবলিক পরীক্ষায় পূর্বের ন্যায় ধর্মীয় শিক্ষা বহাল ও শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলকসহ সিলেবাস থেকে ঈমান-আকিদা বিধ্বংসী চার্লস ডারউইনের অবৈজ্ঞানিক বিবর্তনবাদ বাদ দেওয়ার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আজ রবিবার ( ৪ ডিসেম্বর) ২০২২ রোজ সকাল দশটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হালিম মিয়ার সভাপতিত্বে যশোর জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা শোয়াইব হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা, শাখার যুগ্মসম্পাদক মুহাম্মাদ আলী সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক, এইচ এম মহাসিন, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক, মুফতি আবু জ্বর বিন হাফিজ, ইসলামী যুব আন্দোলন যশোর জেলা শাখার, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ খায়রুল বাশার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার, সভাপতি, মুহাম্মাদ আব্দুল আওয়াল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শোয়াইব হোসেন
বলেন- শিক্ষাঙ্গনে সিলেবাস থেকে নাস্তিক্যবাদী ও ধর্মহীন শিক্ষা বাদ না দিলে, পীর সাহেব চরমোনাই- এর নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদী জাতি বানাতে দিতে পারি না। সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড ও সভ্যতার মাপকাঠি। সুশিক্ষা ব্যতীত কোন জাতি সভ্যতার প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। ঠকবাজির মাধ্যমে যেমন কোন ব্যবসা টেকে না, তেমনি নীতি- নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ছাড়া কোন জাতি উন্নতির শিখরে উঠতে পারে না।
তিনি বলেন – বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত জাতীয় শিক্ষানীতির প্রাক-কথনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যে এই শিক্ষা নীতির উল্লেখযোগ্য দিক হিসাবে ধর্ম, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো-বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১-এ ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বাদ দিয়ে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা নামে ইসলাম শিক্ষাকে একপ্রকার উপেক্ষা করা হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিপরীত। অধিকান্তই ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে যা এদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষানীতি-২০১০ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে বলা হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়তা করা।
তিনি আরো বলেন- ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অংশে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মনে আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও আখেরাতের প্রতি অটল ঈমান ও বিশ্বাস যাতে গড়ে ওঠে এবং তাদের শিক্ষা যেন আচার সর্বস্ব না হয়ে তাদের মধ্যে ইসলামের মর্মবাণীর যথাযথ উপলব্ধি ঘটে সেভাবে ইসলামিক শিক্ষা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও চার্লস ডারউইনের বিবর্তবাদ সকল সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে যশোর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *