যশোরে নির্বিঘ্নে বিএনপির সমাবেশ ও গণমিছিল

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি
বাস্তবায়ন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ,মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সহ সারাদেশে আটককৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও গনমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণসহ সাধারণ জনগণ অংশ গ্রহন করেন।

আজ (২৪ ডিসেম্বর) শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করছি না, আমরা কাউকে উৎখাতের জন্য ওয়াদা করে নামেনি। একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমরা অংশ নেবো। সেখানে প্রমাণ হবে কারা জনপ্রিয়।

তিনি আরো বলেন, সরকার ছায়া আতংকে ভুগছে। রাতের বেলায় দেয়ালে নিজের ছায়া দেখেও চিৎকার করে উঠছে । নাশকতা-নাশকতা বলে চিৎকার করে। এর জন্য বিএনপি দায়ী না। এ ভয়ের কারণে আজও পঞ্চগড়ে এক বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর কত হত্যা নির্যাতন করবেন আর বচন দেবেন। তাতো হয় না।
তিনি আরও বলেন-ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। যত লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে তা দিয়ে দশটা পদ্মা সেতু করা যেত। আমরা এর বিরুদ্ধে কথা বলছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এখানে যে বাধা সৃষ্টি করবেন তিনি টিকতে পারবেন না। তিনি হারিয়ে যাবেন।
সমাবেশে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।মিছিল থেকে খালেদা জিয়া, মির্জা ফকরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়া হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *